• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০, ০৬:২৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০, ০৬:২৭ এএম

চীনা ভাইরোলজিস্টের দাবি

উহানের ল্যাবেই করোনা তৈরি, শতভাগ প্রমাণ আছে

উহানের ল্যাবেই করোনা তৈরি, শতভাগ প্রমাণ আছে
চীনা ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ান - জাগরণ গ্রাফিক্স ডেস্ক।

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকেই বিভিন্ন পর্যায় থেকে দাবি উঠেছিলো যে ভয়ঙ্কর এই ভাইরাসটি মানবসৃষ্ট এবং তা চীনের উহান প্রদেশে অবস্থিত গবেষণাগারেই তৈরি করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে সবচেয়ে জোরালোভাবে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছিল যে, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে চীনের ভূমিকা রয়েছে।

এবার ট্রাম্প প্রশাসনের সেই দাবিকে আরও জোরদার করলো চীনের উহানের ল্যাবে গবেষক হিসেবে কাজ করা এক ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ান। 

চীনা এই ভাইরোলজিস্টের দাবি, চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছে করোনাভাইরাস। এটি মানুষের তৈরি বলে তার কাছে শতভাগ প্রমাণ রয়েছে। আর শীঘ্রই তিনি তা প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মিরর।

হংকংয়ে জন্ম নেওয়া ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ান চীন থেকে পালিয়ে বর্তমানে আশ্রয় নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। চলতি বছরের শুরুতে তাকে চীনে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছিল দাবি করে তিনি জানিয়েছেন যে, প্রাণ ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় গ্রহণ করেন লি। ব্রিটিশ একটি টকশোতে হাজির হয়ে তিনি নতুন করে এই দাবি করেছেন।

তিনি বলেছেন, চীন সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন যে ল্যাবে এটি তৈরি করা হয়েছে সেখান থেকেই ভাইরাসটি ক্রমান্বয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।

শুরু থেকেই চীন দাবি করেছে, উহানের স্থানীয় একটি বাজার থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।

যার বাহক সম্ভাব্য কোনো সামদ্রিক বা জঙ্গলি প্রাণী। কিন্তু সে কথা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে উহানের এই ভাইরোলজিস্ট জানিয়েছেন, স্থানীয় চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা কথা বলে তিনি প্রমাণ পেয়েছেন, এই ভাইরাস চীনের ল্যাবেই তৈরি হয়েছে।

লি মেং নিজের দাবি ব্যাখ্যা করে বলেন, ভাইরাসটির জিনোম সিকোয়েন্স মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্টের মতো। এর ভিত্তিতে আপনারা এই বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারবেন।

আমি এই প্রমাণ ব্যবহার করে মানুষকে জানিয়ে দেবো কেন চীনের ল্যাবে এই ভাইরাস তৈরি হয়েছে এবং কেন তারা এটি তৈরি করেছে। জীববিজ্ঞানের জ্ঞান না থাকলেও যে কেউ তা পড়তে পারবেন এবং নিজেই তার যৌক্তিক সত্যতা যাচাই করতে পারবেন।  

এর আগে তিনি দাবি করেছেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ে মিথ্যা বলেছে চীন। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কথা অনেক আগে জানতে পেরেও রোগটির বিষয়ে সঠিক তথ্য গোপন রাখা হয়।

তিনি জানান, চীনের পূর্বাঞ্চলে গত বছরের শেষ দিকে নিউমোনিয়ার মতো এই রোগ প্রথমদিকে গবেষণাকারীদের একজন ছিলেন তিনি। কিন্তু যখন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে তখন তাকে নীরব ও সতর্ক থাকতে বলা হয়। তার সুপারভাইজার তাকে বলেন, আমরা সমস্যায় পড়বো এবং গুম হয়ে যাবো।

এসকে