• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০, ০৭:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০, ০৭:৫৮ পিএম

রাষ্ট্রপ্রধান থাকছেন না রানী এলিজাবেথ

ঔপনিবেশিকতার অবসান ঘটিয়ে প্রজাতন্ত্রের পথে বার্বাডোস

ঔপনিবেশিকতার অবসান ঘটিয়ে প্রজাতন্ত্রের পথে  বার্বাডোস
বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটোলি (ইনসেটে- রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ)।

রানী এলিজাবেথকে রাষ্ট্রপ্রধান পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে একটি প্রজাতান্ত্রীক রাষ্ট্র হিসেবে পূর্ণ সার্বভৌমত্বের পথে পা বাড়ানোর ঐতিহাসিক ঘোষণা দিয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের স্বাধীন রাষ্ট্র বার্বাডোস। দ্বীপরাষ্ট্রটির সরকার বলছে, সময় এসেছে ঔপনিবেশিক অতীতকে পুরোপুরি পেছনে ফেলে নিজেদের পূরদণ সার্বভৌমত্বের পথে এগিয়ে নেয়ার।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসন্ন ২০২১ সালের নভেম্বরে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতার ৫৫তম বার্ষিকীর আগেই পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ করতে চায় বার্বাডোস সরকার।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটোলির লেখা একটি বক্তৃতায় বলা হয়, বার্বাডিয়ানরা নিজস্ব রাষ্ট্রপ্রধান চান। আমরা কারা এবং আমরা কী অর্জন করতে পারি, সেটির সক্ষমতা অর্জনের জন্য এটি চূড়ান্ত বিবৃতি।

এদিকে বাকিংহাম প্যালেস বলছে, এটি সম্পূর্ণ বার্বাডোসের সরকার এবং জনগণের বিষয়। তাছাড়া বিষয়টি হঠাৎ করেই আসেনি। বহুবারই এ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলা হয়েছে। এ কথা জানান বিবিসির সংবাদদাতা জনি ডিমন্ড।

বার্বাডোসের সংসদের নতুন অধিবেশনের আগে এই বিবৃতি দেশটির সরকারের নীতি ও কর্মসূচির রূপরেখার ইঙ্গিত দেয়। এটি দেশটির গভর্নর জেনারেল দেখেছেন। আর এটি লিখেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটোলি।
স্বাধীনতা অর্জনের পর বার্বাডোসের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ইরোল ব্যারোর একটি সতর্কবার্তাও বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছিলেন যে, তাদের দেশকে ঔপনিবেশিক প্রাঙ্গণে রাখা উচিত নয়।

তবে এবারই প্রথম নয়, ১৯৯৮ সালে একটি সাংবিধানিক পর্যালোচনা কমিশনও দেশটিকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছিল। এমনকি মিয়া মটোলির পূর্বসূরি ফ্রয়েডেল স্টুয়ার্টও রাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকে প্রজাতন্ত্রের সরকার গঠনের পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন।

বার্বাডোসই একমাত্র ক্যারিবিয়ান দেশ নয়, যারা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে প্রজাতন্ত্রের সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ১৯৭০ সালে গায়ানা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং এর চার বছর পর তারা ব্রিটিশ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৬ সালে ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো এবং ১৯৭৮ সালে ডোমিনিকাও ব্রিটিশ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

এসকে