• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০, ১০:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০, ১১:০৮ পিএম

মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে শোকের ছায়া

চিরনিদ্রায় আরবের ‍‍‘জ্ঞানবান‍‍’ কুয়েতের আমির আল-সাবাহ

চিরনিদ্রায় আরবের ‍‍‘জ্ঞানবান‍‍’ কুয়েতের আমির আল-সাবাহ
কুয়েতের আমির সাবাহ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ - রয়টার্স

উপসাগরীয় অঞ্চলের 'জ্ঞানবান ব্যক্তিত্ব' খ্যাত মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম তেল সমৃদ্ধ রাষ্ট্র কুয়েতের আমির সাবাহ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সমৃদ্ধ কুয়েত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম পথিকৃত, আধুনিক কুয়েতের শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতির কাণ্ডারী হিসেবে পরিচিত দেশটির ৯১ বছর বয়সী আমির এবং বিশিষ্ট কূটনীতিক আল-সাবাহ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এক রাষ্ট্রীয় বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেশটির রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী শেখ আলী সাবাহ আল-জারাহ।

২০১৯ সাল থেকে একের পর এক শারীরিক ব্যাধিতে ভুগতে শুরু করেন মধ্যপ্রাচ্যের প্রবীনতম অভিভয়াবকদের মধ্য অন্যতম এই গুনী শাসক। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য একাধিকবার তিনি যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমন করেন। তবে বার্ধক্যজনিত কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় পুরোপুরি সেরে ওঠা হয়নি তার। দীর্ঘ অসুস্থতার এক পর্যায় মঙ্গলবার তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৬৩ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৪০ বছর কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার অর্জিত সাফল্যের প্রেক্ষিতে আল-সাবাহকে আধুনিক কুয়েতের পররাষ্ট্রনীতির স্থপতি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সে বছরই তিনি কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সুদীর্ঘ ২৫০ বছর ধরে কুয়েতের শাসন ব্যবস্থা পরিচালনার দায়িত্ব পালনকারী সম্ভ্রান্ত রাজ পরিবারের ১৫তম শাসক শেখ সাবাহ- অন্যতম সফল এবং নন্দিত সরকার প্রধান হিসেবে  ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন।

দীর্ঘদিনের বিপত্নীক এই শাসক দুই ছেলেসহ নিজের সবচেয়ে পছন্দের নিবাস 'দার সালওয়া' নামক প্রাসাদে জীবনযাপন করতেন। ২০০২ সালে দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার একমাত্র কন্যা সালওয়া। তার নামানুশারেই এই প্রাসাদের নামকরণ করা হয়।

এসকে