• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০, ১২:৪৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০, ১২:৪৪ এএম

আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধে নতুন মাত্রা

তুর্কী এফ-১৬ হানায় ভূপাতিত আর্মেনীয় সুখোই-২৫

তুর্কী এফ-১৬ হানায় ভূপাতিত আর্মেনীয় সুখোই-২৫
বাঁ থেকে- তুর্কী এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান এবং বিধ্বস্ত আর্মেনীয় সুখোই-২৫ : দিয়ারিয়ো হোয়

নাগোরনো-কারবাখ অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান রাষ্ট্র দুটির মাঝে অব্যাহত যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে।

সর্বশেষ তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত দেশ দুটির মাঝে চলমান যুদ্ধে অন্তত ৯৫ জন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এদের মাঝে অধিকাংশই বেসামরিক লোক বলে জানা গেছে।

এদিকে মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) চলমান এই সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে আর্মেনীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতির চাঞ্চল্যকর তথ্য। এতে দাবি করা হয়েছে যে, আর্মেনিয়া বিমান বাহিনীর একটি  যুদ্ধ বিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে তুর্কী জেট ফাইটার। আল জাজিরা

আর্মেনিয়ান ইউনিফাইড ইনফোসেন্টার সূত্রে প্রকাশিত এই বিবৃতিতে বলা হয়, আকাশ সীমায় নিরাপত্তা নজরদারি পরিচালনায় নিযুক্ত আর্মেনীয় বিমানবাহিনীর একটি সুখোই (এসইউ)-২৫ যুদ্ধ বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে তুর্কি এফ-১৬ মাল্টিরোল জেট ফাইটার। আইজারবাইজানের গানযা বিমান বন্দর থেকে উড়ানের পর আর্মেনীয় এসইউ-২৫ এর সঙ্গে আকাশযুদ্ধে লিপ্ত হয় তুর্কী এফ-১৬। এ সময় আজারবাইজানের এন্টি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এক পর্যায়ে এফ-১৬ এর ছোড়া শক্তিশালী এয়ার টু এয়ার মিসাইলের আঘাতে ভূপাতিত হয় সুখোই-২৫। এ ঘটনায় বিমানটির পাইলটের বীরোচিত মৃত্যু ঘটে।

তবে আর্মেনিয়া কর্তৃপক্ষের এমন দাবি তাৎক্ষনিক নাকচ করে দিয়ে তুরস্ক জানিয়েছে, এটি তুরস্কের বিরুদ্ধে আর্মেনিয়ার একটি নিচুমানের প্রপাগান্ডা সৃষ্টির অপপ্রয়াস মাত্র।

বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আশির দশকের শুরু থেকেই দ্বন্দ্ব লিপ্ত হয় সাবেক দুই সোভিয়েত রাষ্ট্র আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান।

আজারবাইজানের অভ্যন্তরে অবস্থিত হলেও এই অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নবাদীরা। আজারবাইজানের অভিযোগ, বেআইনি ভাবে ওই অঞ্চলের দখল রেখেছে তারা। 

অপরদিকে, আর্মেনিয়ার বক্তব্য, নাগরনো-কারাবাখ মুক্তাঞ্চল। বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরই দখলে রয়েছে এলাকা। ২০১৬ সালেও এই নিয়ে কার্যত যুদ্ধ শুরু হয়েছিল দু'টি দেশের মধ্যে। তবে রোববার থেকে যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে, তা অতীতের সমস্ত সংঘাতকে ছাপিয়ে যাওয়ার মত পরিস্থিতিতে উপনীত হয়েছে বলে দাবি করছে আন্তর্জাতিক মহল।

আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান দুইটি দেশেই মার্শাল আইন চালু হয়ছে। অর্থাৎ, যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য সেনার বিশেষ আইন বলবৎ হয়েছে। সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ অবশ্য এই যুদ্ধ বন্ধের আবেদন জানিয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়েছে। মূলত ফ্রান্স এবং জার্মানির আবেদনের ভিত্তিতেই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে। তবে নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছে, বন্ধ ঘরে ওই বৈঠক হবে।
এসকে