• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২০, ০৫:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৫, ২০২০, ০৫:৫৮ পিএম

ভ্যাকসিন পাবে সব দেশের মানুষ: পুতিন

ভ্যাকসিন পাবে সব দেশের মানুষ: পুতিন

করোনা-যুদ্ধে ফের সাফল্য রাশিয়ার। পুতিনের দেশের তৈরি করোনার দ্বিতীয় ভ্যাকসিন ‘এপিভ্যাককরোনা’-কেও এবর ছাড়পত্র দিয়ে দিল ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসন।

বিশ্বে সর্বপ্রথম করোনার ভ্যাকসিন আবিস্কারের ঘোষণা করে রাশিয়া। ‘স্পুটনিক-ভি’-র পর এবার করোনার দ্বিতীয় ভ্যাকসিন ‘এপিভ্যাককরোনা’-কেও ছাড়পত্র দিল সে দেশের সরকার। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন করোনার দ্বিতীয় ভ্যাকসিন আবিস্কারের ঘোষণা করেছেন।

নতুন এ টিকাটি সাইবেরিয়ার ভেক্টর ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে। এ ছাড়া সব দেশের মানুষ রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

গত মাসে টিকাটির প্রথম ধাপের ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এদিকে এ বছরের শেষেই কয়েকটি ভ্যাকসিন বাজারে আসার বিষয়ে আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্রের রোগপ্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থা- সিডিসি।

গত আগস্টে বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয় রাশিয়া। দেশটিতে স্পুটনিক ফাইভের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। এবার দ্বিতীয় টিকার অনুমোদন দিলো রাশিয়া। এপিভ্যাককরোনা নামের নতুন এ টিকাটি সাইবেরিয়ার ভেক্টর ইন্সটিটিউট তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে গত মাসে টিকাটির প্রথম ধাপের ট্রায়াল শেষ হয়েছে। নিজের দেশ ছাড়াও সব দেশের মানুষ রুশ ভ্যাকসিন পাবে বলে জানান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, প্রথম এবং দ্বিতীয় দুটি টিকারই পর্যাপ্ত পরিমাণের উৎপাদন করা হবে। প্রথমে রাশিয়ায় সহজলভ্য করার পর বিদেশেও রুশ ভ্যাকসিন বাজারজাত করা হবে। আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।

এ বছরের শেষেই কয়েকটি ভ্যাকসিন বাজারে আসার বিষয়ে আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্রের রোগপ্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থা- সিডিসি। প্রথম দিকে সরবরাহ সীমীত হলেও পরবর্তীতে তা সহজলভ্য হবে বলেও জানিয়েছে সিডিসি। কাওকে যেন টিকা দিতে এক দেশ থেকে আরেক দেশে না যেতে হয়, সবাই যেন নিজ দেশে বসেই টিকা পায় সে বিষয়েও খেয়াল রাখবে সিডিসি। সিডিসি ভ্যাকসিন উৎপাদনে ভূমিকা না রাখলেও সরবরাহে ভূমিকা রাখবে।

চীনের রাষ্ট্র মালিকানাধীন ওষুধ প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মা চীনা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলকভাবে কোভিড উনিশের টিকা দিচ্ছে। এ শিক্ষার্থীরা দেশের বাইরে পড়তে যাচ্ছে। ক্লিনিকাল ট্রায়ালের বাইরে তাদের যে টিকা দেয়া হচ্ছে তা নিয়ে সমালোচনা করেছেন পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা।

নভেম্বরের শেষের দিকে অথবা ডিসেম্বরের শুরুর দিকে টিকা পাওয়া যেতে পারে বলে আশাবাদী ভারতে অক্সফোর্ডের টিকা নিয়ে কাজ করা সিরাম ইনস্টিটিউট। টিকা নেয়া স্বেচ্ছাসেবীরা সুস্থ আছেন বলেও জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ভারত বায়োটেক এবং কাডিলা হেল্থকেয়ারের দুটি টিকা দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালে আছে। নভেম্বরের শুরুর দিকে এর ফলাফল এলে পরবর্তী ধাপের পরীক্ষায় যাবে টিকা দুটি।

জাগরণ/এমইউ