• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২০, ০৯:০৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৩০, ২০২০, ০৯:০৪ এএম

সৌদির ফরাসি দূতাবাসে হামলা, আটক ১

সৌদির ফরাসি দূতাবাসে হামলা, আটক ১
ফরাসী দূতাবাসে হামলার ঘটনায় জেদ্দাজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার - ছবি : দ্য রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড

সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত ফরাসি দূতাবাসের এক নিরাপত্তাকর্মীকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সৌদিতে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস বিবৃতির মাধ্যমে জানায়, তারা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা চরম অন্যায় বলে মন্তব্য করেছে তারা।

সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ফরাসি কনস্যুলেটে হামলাকারী সৌদি নাগরিক। এরই মধ্যে তাকে আটক করা হয়েছে।

এ দিকে বৃহস্পতিবারই ফ্রান্সের নিস শহরের একটি গির্জায় ছুরি দিয়ে তিনজনকে হত্যা করেছে এক হামলাকারী। নিস শহরের মেয়র এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেছেন।

ফরাসি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ছুরি হামলায় নিহতদের একজন নারী। তার শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। হামলার ১০ মিনিটের মাথায় সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : ইসলাম অবমাননা ইস্যুতে ভারতীয়রা কেন ফ্রান্সের পক্ষে?

চলতি মাসের শুরুর দিকে মুসলিমদের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ এবং ‘ইসলাম বিশ্বব্যাপী সংকটাপন্ন এক ধর্ম’ মন্তব্য করে বিতর্ক উসকে দেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো। এর কিছুদিন পর ক্লাসরুমে মহানবী (স) এর বিতর্কিত ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের পর এক শিক্ষকের শিরশ্ছেদ করেন এক মুসলিম যুবক।

এ ঘটনার জেরে ম্যাক্রো ঘোষণা দেন, তার দেশ মহানবী (স) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বন্ধ করবে না। পরে দেশটির দু’টি সরকারি ভবনে প্রোজেক্টরের মাধ্যমে বড় করে সেই বিতর্কিত ছবি দেখানো হয়।

মূলত এরপরই ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা মুসলিম বিশ্বে। প্রিয়নবীকে অপমানের জবাবে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। দেশে দেশ ছড়িয়ে পড়ে ফ্রান্স বয়কটের ডাক। এমনকি ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবিও উঠেছে অনেক জায়গায়।

অনেকের মতে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে সব পক্ষকে উগ্রবাদের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। তবে ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, প্রকৃত ইসলাম কখনোই উগ্রবাদ সমর্থন করে না।
সূত্র : রয়টার্স

এসকে