• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২০, ০৮:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৯, ২০২০, ০৮:১১ পিএম

মুদ্রাবাজার দখলে চীনের নতুন অস্ত্র!

মুদ্রাবাজার দখলে চীনের নতুন অস্ত্র!

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল কারেন্সির ব্যবহার শুরু করছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ চীন। এরই মধ্যে এই ডিজিটাল মুদ্রার পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়েছে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে। বিভিন্ন সূত্রমতে, আসন্ন অলিম্পিক-২০২২ কে এই মুদ্রা জনপ্রিয়করণের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছে চীন। এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে দেশটিকে বিশ্ব মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলারের আধিপত্য কমাতে সাহায্য করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। 

পরীক্ষামূলক এই মুদ্রা ব্যবহারের দ্বিতীয় ধাপ হিসেবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে সুযউ প্রদেশের প্রায় এক হাজার মানুষের মধ্যে ডিজিটাল কারেন্সি বিতরণ করা হচ্ছে, যা কোনো ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই শুধু স্মার্টফোন প্রযুক্তির মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে। মূলত টাকা লেনদেনের প্রচলিত ধারণার আধুনিকায়ন করতেই চীন এই উদ্যোগ নেয়। টেক জায়ান্ট হুয়াওয়ে এরই মধ্যে ডিজিটাল কারেন্সি ফিচারসহ স্মার্টফোন তৈরি করেছে। জেডি ডটকম নামে একটি চীনা প্রতিষ্ঠানও সরকারের সঙ্গে এ প্রকল্পে যুক্ত আছে। ডিজিটাল মুদ্রা দিয়ে নাগরিকেরা জেডি ডটকম থেকেও কেনাকাটা করতে পারবেন। 

ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহারের চিন্তা চীন শুরু করেছিল ২০১৪ সালে। (তথ্যসূত্র: পিপলস ব্যাংক অব চায়না)। টেক জায়ান্ট আলীএক্সপ্রেস আর উইচ্যাট পের মতো সংস্থাগুলোর ডিজিটাল মুদ্রা মনোপলি ও তাদের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ওপর এর প্রভাব নিয়ে চিন্তিত ছিল। ফলে ২০১৪ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর তারা এ বিষয়ে বিভিন্ন বিচার-বিশ্লেষণ করে এবং এ বছর এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি সঙ্গে ডিজিটাল কারেন্সি ইলেকট্রনিক পেমেন্টের (ডিসি/ইপি) মূল পার্থক্য হলো এই ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহারের প্রতিটি স্তর চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারিতে থাকছে।  যা ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে অসম্ভব। আবার ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে  অর্থের যোগানসহ বিভিন্ন বিষয় কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। তাই লেনদেনগুলো নজরদারিতে আনাও সম্ভব না। তবে চীনের ডিজিটাল মুদ্রার ক্ষেত্রে এই নজরদারি  হবে দেশটির সেন্ট্রাল ব্যাংকের মাধ্যমে।

চীনা জনগোষ্ঠীর যে অংশটি ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত নয়, তাদেরও এই ডিজিটাল লেনদেনে সম্পৃক্ত করা হবে। শুধু তাই নয়, এই মুদ্রানীতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে চীনা মুদ্রা ইয়ুনকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করছে বেইজিং। অবশ্য এ উদ্যোগের সাফল্য নির্ভর করছে চীনের জনগণের ওপর। স্থানীয়ভাবে সবাই যদি ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়, তাহলেই চীনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হবে।

আরও পড়ুন