• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২১, ০৩:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২০, ২০২১, ০৩:৫৪ পিএম

ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস

ক্ষমতায় আসার আগেই ইতিহাস গড়লেন যে নারী

ক্ষমতায় আসার আগেই ইতিহাস গড়লেন যে নারী

আজ শপথ নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ, ভারতীয় বংশোদ্ভূত, নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। যে বিশেষণেই ভূষিত করা হোক না কেন, সেখানেই মানিয়ে যাবেন এই ডেমোক্র্যাট নেত্রী। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে অভিষিক্ত হয়েই যেন একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছেন তিনি।

ক্যালিফোর্নিয়ার অকল্যান্ডে ১৯৬৪ সালের ২০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন কমলা দেবী হ্যারিস। বাবা জ্যামাইকান নাগরিক ডোনাল্ড হ্যারিস পেশায় একজন অধ্যাপক এবং মা ভারতীয়-মার্কিন অভিবাসী শ্যামলা গোপালান ক্যানসার গবেষক।

পরিবারে দুই বোনের মধ্যে বড় সন্তান কমলা হ্যারিস। সাত বছর বয়সে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। এরপর মায়ের সঙ্গে বেড়ে ওঠেন দুই বোন। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি পড়া শেষ করে হেস্টিং কলেজ থেকে আইনে ডিগ্রি নেন তিনি।

১৯৯০ সালে অকল্যান্ডের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে চাকরিজীবন শুরু করেন কমলা হ্যারিস। ২০০৪ সালে নির্বাচিত হন সান ফ্রান্সিসকোর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি পদে। এরপর ২০১০ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল পদে জয়ী হন। ২০১২ সালের ন্যাশনাল কনভেনশনে অসাধারণ বক্তৃতা দিয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতৃত্বে আসেন তিনি। ২০১৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী মার্কিন সিনেটর নির্বাচিত হন ৫৬ বছর বয়সী হ্যারিস।

সিনেটর পদে নির্বাচিত হওয়ার পর রাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা সংস্কারে কাজ করেন। অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব প্রদান, আয়কর সংস্কারের পক্ষেও জোরালো ছিল তার অবস্থান। কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করার অসাধারণ নেতৃত্বই তাকে সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম করেছে বারবার।

এরপর ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন কমলা হ্যারিস। কিন্তু নির্বাচনী প্রচার নিয়ে নানান জটিলতায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন তিনি। তারপরেও হ্যারিসের নেতৃত্বের ওপর ভরসা রেখেই ২০২০ সালের ১১ অগাস্ট নির্বাচনী জুটি হিসেবে তাকে বেছে নেন বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯তম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইতিহাস গড়ে নিজেকে প্রমাণ করে দেখান কমলা হ্যারিস। ক্ষমতা গ্রহণের আগেই যে নারী ইতিহাস বদলে দিয়েছেন, তার ওপর ভরসা