• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২১, ০৯:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৮, ২০২১, ০৯:৫৮ পিএম

প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়াম মজুদের কাছাকাছি ইরান

প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়াম মজুদের কাছাকাছি ইরান

আবারও ইউরেনিয়ামের দিকে ঝুঁকছে ইরান। গত এক মাসে ১৭ কেজি ইউরেনিয়াম মজুদ করতে সমর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির জাতীয় টেলিভিশন। ফলে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সম্ভাবনায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো তারা, যা যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়াতে পারে। 

আজ বৃহস্পতিবার ইরান পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাগের কালিবাফ এই ঘোষণা দেন, যা সরাসরি প্রচারিত হয়। দেশের পারমাণবিক প্রকল্পগুলো পরিদর্শন শেষে এই মন্তব্য করেন তিনি। সেই ইউরেনিয়ামের অধিকাংশই নাকি শতকরা ২০ ভাগ তেজস্ক্রিয়, যা অধিকাংশ অস্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় গুণমানের ইউরেনিয়াম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। কালিবাফ তার বক্তব্যে ইরান পারমাণবিক শক্তি সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান।  

ইরান প্রতি বছর ১২০ কেজি শতকরা ২০ ভাগ তেজস্ক্রিয়তাযুক্ত ইউরেনিয়াম উত্তোলন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। গড়ে ১০ কেজি করে মাসে এই ইউরেনিয়াম উত্তোলন করলে তাদের অস্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় ১৭ কেজি ইউরেনিয়াম তুলতে আর বেশিদিন লাগবেনা। এমন ইউরেনিয়ামের ২৫০ কেজি থাকলেই সেটিকে ৯০ শতাংশ তেজস্ক্রিয়তাযুক্ত ২৫ কেজি ইউরেনিয়ামে রূপান্তর করা সম্ভব, যা পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব।  

ইরান বলছে, এই ইউরেনিয়াম শুধুমাত্র জনসাধারণকে বিদ্যুৎ দেয়ার জন্য ব্যবহৃত হবে। তবে এটিকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাজেও ব্যবহার করা সম্ভব। ২০১৫ সালে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য পশ্চিমা বিশ্বের কাছে বেশ সমালোচিত হয়। ২০১৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে সাক্ষরিত চুক্তি থেকে বের হয়ে আসেন। ফলে ইরান পারমাণবিক গবেষণার সুযোগ পায়। নবনির্বাচিত জো বাইডেন প্রশাসন আবারও সেই চুক্তিতে ফেরত আসতে পারে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।