• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১, ০৯:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১, ০৯:০৬ পিএম

ডাকাতির প্র্যাংক ভিডিও, গুলিতে ইউটিউবারের মৃত্যু!

ডাকাতির প্র্যাংক ভিডিও, গুলিতে ইউটিউবারের মৃত্যু!

সচরাচর ফেসবুক আর ইউটিউবের জনপ্রিয় কনটেন্টগুলোর শীর্ষে থাকে বিভিন্ন মজার মজার ‘প্র্যাংক ভিডিও’। দর্শকদের বিনোদন দিতে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে অনেক ইউটিউবার বা কনটেন্ট ক্রিয়েটর এমন ‘ভিডিও কনটেন্ট’ তৈরি করে থাকেন।

যদিও ভিডিওর শেষে ঘটনাটি সাজানো ছিল স্বীকার করে ক্যামেরা দেখিয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করেন এর পেছনের কারিগররা। তবে অনেক্ষেত্রেই এসব প্র্যাংক বা ঠাট্টা শেষ পর্যন্ত বিব্রতকর পরিস্থিতির তৈরি করে। এমনকি ঠাট্টার পাত্র হয়ে ভুক্তভোগীও আচমকা রেগে যান কিংবা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি রাজ্যে এমন এক প্র্যাংক ভিডিও গড়িয়েছে গোলাগুলি পর্যন্ত। সাজানো ডাকাতির ভিডিও করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে এক উঠতি ইউটিউবার। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টিমোথি উইক্স নামের এক কিশোর তার বন্ধুকে নিয়ে ন্যাশভিলের একটি বিনোদন কেন্দ্রে ভিডিও তৈরি করতে গিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে এক দর্শনার্থী আত্মরক্ষার্থে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান টিমোথি।

আরবান এয়ার মূলত শিশুকিশোরদের ট্রাম্পোলিন খেলার সুবিধাসহ একটি বিনোদন পার্ক, যেখানে বিভিন্ন বয়সের মানুষেরাই অবসর সময় কাটাতে আসেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউকেআরএন এর বরাতে বিবিস জানায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে টিমোথি উইক্স ও তার বন্ধু ডাকাত সেজে ধারালো অস্ত্র নিয়ে পার্কে প্রবেশ করে উপস্থিত দর্শনার্থীদের ভয় দেখাতে থাকেন। 

অনেকেই একে সত্যিকার ডাকাতির ঘটনা ভেবে ভুল করেন। এসময় আতংকিত হয়ে পিস্তল দিয়ে টিমোথিকে গুলি করেন ২৩ বছর বয়সী আরেক দর্শনার্থী যুবক। পরবর্তীতে সে পুলিশের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করে ‘স্রেফ আত্মরক্ষার স্বার্থেই গুলি করেছেন’ দাবি করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাঁর দাবির পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার যুবকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ গঠন করেনি পুলিশ। ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁর নাম পরিচয়ও প্রকাশ করা হয়নি।

বিনোদন কেন্দ্রটির বাইরে সাইনবোর্ডে শিশুবান্ধব ও ‘পারিবারিক আবহ’ বজায় রাখার অনুরোধ করা সত্ত্বেও এখানে প্র্যাংক ভিডিও বানানোর চেষ্টা করায় এলাকার অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।

সম্প্রতি ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রাংক ভিডিওর নামে লোকজনকে মৃত্যুর ভয় দেখানো বা অস্ত্র ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে। এমনকি অনেক দেশেই কনটেন্ট তৈরির নামে কাউকে শারীরিকভাবে আঘাত করার বা কারো ওপর মানসিকভাবে চাপের সৃষ্টি করাকে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবেও গণ্য করা হচ্ছে।

তারপরেও অনেক তরুণ তাদের ফেসবুক পেইজ কিংবা ইউটিউব চ্যানেলের দর্শক বাড়াতে এ ধরণের ভাইরাল ভিডিও তৈরির চেষ্টা করে থাকেন। এসব কনটেন্ট মুছে ফেলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন