• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১, ০৪:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১, ০৪:৩৮ পিএম

ধর্ষণ রুখতে আইন

দৈহিক মিলনের সম্মতির প্রমাণ রাখবে অ্যাপ

দৈহিক মিলনের সম্মতির প্রমাণ রাখবে অ্যাপ

ধর্ষণের মতো অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে কঠোর আইন জারি করেছে ডেনমার্ক। এর ফলে নারী-পুরুষ উভয়পক্ষের সম্মতি ছাড়া যেকোন শারীরিক সম্পর্ককে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করা হবে। গত ডিসেম্বরে জারি করা এ আইন কার্যকর হয়েছে বছরের শুরু থেকেই। এমনকি নতুন আইনের সঙ্গে একটি অ্যাপও চালু করেছে ডেনমার্ক সরকার।

আই’কনসেন্ট নামের এই অ্যাপের মাধ্যমে নারী ও পুরুষকে দৈহিক মিলনের আগে যার যার ফোনে সম্মতি রেকর্ড করে নিতে হবে। অ্যাপের নির্দিষ্ট অপশনে ক্লিক করার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন দুজন। তবে যেকোন সময় এই সম্মতি তুলে নিতে পারবেন তাঁরা। বিশেষ এনক্রিপশনের মাধ্যমে অ্যাপের তথ্য গ্রাহকের ফোনেই সংরক্ষিত থাকবে। তৃতীয় কোন ব্যক্তি এই অ্যাপের তথ্য জানার সুযোগ পাবেন না। অ্যাপে সংরক্ষিত এই সম্মতিপত্র পরবর্তীতে যেকোন মামলার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে ডেনমার্কের আদালত। 

নতুন অ্যাপ নিয়ে দেশটির জনগণ মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। অনেকে বলছেন এটা সরকারের ‘করোনা সংক্রমণের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনের মতোই বিরক্তিকর’ এক অ্যাপ। আবার কেউ কেউ বলছেন জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন বন্ধে এই অ্যাপ যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। তবে এটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন দেশটির সাধারণ মানুষ।

আই’কনসেন্টকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন ডেনিশ আইনজীবীরা। তাদের দাবি, ধর্ষণের মামলায় অনেকেই দাবি করেন যে তাঁর সঙ্গে জোরপূর্বক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে। তবে এই অ্যাপে দুজনের সম্মতির তথ্য রেকর্ড থাকায় এ ধরণের দাবি করার সুযোগ থাকবে না। ডেনমার্কের আইনমন্ত্রী নিক হেকেরাপ বলেন, “ব্যাপারটা এখন পানির মতো পরিষ্কার। আই’কনসেন্টে কারো সম্মতির তথ্য না থাকলেই সেটি ধর্ষণ।”

২০১৮ সালে সুইডেনেও এ ধরণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এর ফলে দেশটির ৭৫ ভাগ ধর্ষণের মামলাতেই দ্রুত বিচার সম্ভব হয়েছিল।

তথ্যসূত্র: দ্য সান, ডেইলি মেইল ও দ্য আইরিশ টাইমস।

আরও পড়ুন