মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে দেশটিতে আর্থিক সহায়তা  বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ)। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির খবর এ তথ্য জানায়।

খবরে বলা হয়, সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ইইউ’এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিবৃতি প্রকাশ করেছেন, তারা “নিষেধাজ্ঞামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে প্রস্তুত”।

ইইউর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মিয়ানমারকে সরকারিভাবে দেওয়া আর্থিক সহায়তাগুলো বন্ধ রাখা হচ্ছে। দেশটিতে সেনাঅভ্যুত্থানের প্রতিবাদে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ হলে তা দেশটির সাধারণ জনগণের ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, “দেশটির পোশাক শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে এ বিষয়ে বিবেচনা করে মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক প্রত্যাহার করা হবে না। আমরা তা করতে যাচ্ছি না। এটি জনগণের পক্ষে খুব ক্ষতিকর হবে। হাজার হাজার মানুষ চাকরি হারাবে। এটি সামরিক বাহিনীর কোনও ক্ষতি করবে না।”

এছাড়াও রাশিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা অ্যালেক্সাই নাভালনির ওপর দমন নীতির কারণে রাশিয়ার বেশকিছু সেনা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের বিষয়টি দ্রুত কার্যকর করার বিষয়েও তাগিদ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।