• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১, ০৯:৪৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১, ১০:২৫ এএম

মিয়ানমার ইস্যু

সেনাবিরোধী বক্তব্যে বরখাস্ত রাষ্ট্রদূত

সেনাবিরোধী বক্তব্যে বরখাস্ত রাষ্ট্রদূত

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিয়াও মোয়ে তুনকে বরখাস্ত করেছে দেশটির সেনা শাসকরা। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিবিসি এ তথ্য জানায়।

খবরে জানা যায়, মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানকে কঠোরভাবে দমনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিয়াও মোয়ে তুন। এরপরই দেশটির সেনাপ্রধান ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন।

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্যে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য দেন কিয়াও মোয়ে তুন। জাতিসংঘে বার্মিজ ভাষায় বক্তব্য দেন তিনি। এরপর তিন আঙুল উঁচিয়ে স্যালুট দেন। সেনা সরকারকে বিদায়ের প্রতীকী চিহ্ন হিসেবে তিন আঙুল উঁচিয়ে স্যালুট প্রদর্শন করে বিক্ষোভকারীরা।

রাষ্ট্রদূত কিয়াও মোয়ে তুন তার এ বক্তব্যে বলেন, “অবিলম্বে সামরিক অভ্যুত্থানের অবসান ঘটাতে হবে। নিরীহ লোকজনের ওপর নির্যাতন বন্ধে, জনগণের কাছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সম্ভাব্য কঠোরতম পদক্ষেপ প্রয়োজন আমাদের।”

জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর প্রতি মিয়ানমারের সেনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানানোরও আহ্বান জানান তিনি।

কিয়াও মোয়ে তুন বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক সরকারের জন্য লড়াই অব্যাহত রাখব; যে সরকার জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত ও জনগণের স্বার্থে পরিচালিত।”

এরপরই কিয়াও মোয়ে তুন দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে অভিযোগ করে দেশটির সেনাপ্রধান।

মিয়ানমারের স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত এক সংবাদে সেনাবাহিনীর পক্ষে থেকে বলা হয়, “কিয়াও মোয়ে তুন সরকার স্বীকৃত নয় এমন একটি সংগঠনের পক্ষে বলেছেন যারা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে না। তিনি রাষ্ট্রদূতের ‘ক্ষমতা ও দায়িত্বের’ অপব্যবহার করেছেন।”

১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চিসহ ক্ষমতাসীন দল এনএলডির শীর্ষ নেতাদের আটক করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই সেনাশাসনের বিরুদ্ধে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে।