• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১, ১২:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১, ১২:০৮ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রে জনসনের টিকার অনুমোদন

যুক্তরাষ্ট্রে জনসনের টিকার অনুমোদন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি টিকা অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জনসনের এই টিকাটির এক ডোজই কার্যকর। সংবাদমাধ্যম বিবিসির অনলাইন এ তথ্য জানায়। 

স্থানীয় সময় শনিবার দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এ অনুমোদন দিয়েছে। সংস্থাটির ২২ সদস্যের কমিটি ভার্চ্যুয়াল বৈঠক শেষে টিকার অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। 

ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার পর তৃতীয় টিকা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র জনসনের টিকার অনুমোদন দিল। বিশ্বে এ পর্যন্ত যতগুলো টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেগুলো সবই দুই ডোজের। প্রথমবারের মতো বিশ্বের প্রথম কোন দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এই এক ডোজের করোনার টিকার অনুমোদন দিল।   

তবে ফাইজার ও মডার্নার টিকার সঙ্গে জনসনের টিকার বড় পার্থক্য রয়েছে। সেটা হলো জনসনের টিকা সংরক্ষণ করা যাবে সাধারণ  রেফ্রিজারেটরে। এছাড়া এ টিকার দামও তুলনামূলক সস্তা।

এফডিএর এই অনুমোদনকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বাইডেন বলেন, “এটি দেশের সকল নাগরিকদের জন্য একটি দারুণ খবর। তবে করোনার সংক্রমণ রোধে এখনো অনেক লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।” পাশাপাশি জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে সচেতন থাকতে আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

আগামী সপ্তাহ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে জনসনের টিকা দেওয়া শুরু হতে পারে। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য ৩ কোটি, কানাডা ৩ কোটি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০ কোটি ডোজ  টিকা কেনার চাহিদা দিয়েছে। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৫০ কোটি ডোজ টিকার চাহিদা দিয়েছে।

গত মাসে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল প্রকাশ করে জনসন অ্যান্ড জনসন। জনসন কৃর্তপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে চালানো মানবদেহে টিকার ট্রায়াল চালায়। পরীক্ষায় দেখা গেছে, করোনার তীব্র সংক্রমণে এটি কার্যকর। 

এ ছাড়া পরীক্ষায় আরও দেখা গেছে, গুরুতর অসুস্থতা প্রতিরোধে এই টিকা ৮৫ শতাংশের বেশি কার্যকর। তবে সার্বিকভাবে এই টিকা ৬৬ শতাংশ কার্যকর। এছাড়া জনসন টিকা নেওয়ার ২৮ দিন পর কেউ অসুস্থ হননি।