• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২১, ০২:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২২, ২০২১, ০২:৩২ পিএম

ফ্লয়েড হত্যায় পুলিশ কর্মকর্তার ৪০ বছর কারাদণ্ড

ফ্লয়েড হত্যায় পুলিশ কর্মকর্তার ৪০ বছর কারাদণ্ড

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার দায়ে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনকে দোষী সাব্যস্ত করে সর্বোচ্চ ৪০ বছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন জুরি।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) ১২ সদস্যের জুরি প্যানেল মামলাটির রায় ঘোষণা করেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

জাল নোট ব্যবহারের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে গত বছরের মে মাসে গ্রেপ্তার হন ফ্লয়েড। 

ফ্লয়েডের ঘাড়ে ডেরেক শভিনের (৪৫) হাঁটু গেড়ে বসে থাকার ৯ মিনিটের ভিডিও সাড়া বিশ্বে সমালোচনার ঝড় তুলে।

সে সময় ফ্লয়েড বারবারই ‘আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না’ বলে আকুতি জানালেও তা মন গলাতে পারেনি তাকে আটক করা পুলিশ কর্মকর্তার। পরে শভিনের হাতে নিহত হন জর্জ ফ্লয়েড।

তার মৃত্যুর পর বর্ণবাদ ও পুলিশের অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহারের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্র হয়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

ফ্লয়েডের মৃত্যুর মাসখানেক পর তার পরিবার শহর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর এ মামলায় তিন সপ্তাহের বিচার শেষে মঙ্গলবার রায় আসে।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে জুরি প্যানেলের সদস্যরা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন। সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে না আসার আগ পর্যন্ত তাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ ছিল না।

রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক শ মানুষ বিজয়োল্লাসে মেতে ওঠেন। তিনটি অভিযোগে শভিন দোষী সাব্যস্ত হন। তাকে সর্বোচ্চ ৪০ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার সময় শভিনকে আদালতে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ফ্লয়েডের পরিবারের আইনজীবী বেন ক্রাম্প বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এই রায় ‘যুগান্তকারী’।”

টুইটে বেন ক্রাম্প বলেন, “অনেক বেদনার বিনিময়ে অর্জিত বিচার অবশেষে অর্জিত হলো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহির প্রয়োজনীয়তার ক্ষেত্রে এটা স্পষ্ট বার্তা।”

রায় ঘোষণার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ফ্লয়েডের পরিবারকে ফোন করেন।

বাইডেনকে বলতে শোনা যায়, “অন্তত এখন কিছু ন্যায়বিচার হলো। আমরা আরও অনেক কিছু করব। প্রকৃত পদ্ধতিগত বর্ণবাদ মোকাবেলায় প্রথম ঘটনা হতে যাচ্ছে এটি।”