
লিবিয়া উপকূল থেকে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টায় নৌকাডুবিতে শতাধিক শরণার্থীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বার্তাসংস্থা এপি জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) রাতে প্রায় ১৩০ যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে রাবারের একটি নৌকা। ১০ ঘণ্টা পর ভূমধ্যসাগরে গিয়ে এটি উল্টে যায়। এরপর শুক্রবার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলে অন্তত ১০টি মরদেহ ভেসে ওঠে।
২০১১ সালে ন্যাটোর অভিযানে লিবিয়ার স্বৈরশাসক মোয়াম্মার গাদ্দাফি নিহত হওয়ার পর, দেশটিতে গৃহযুদ্ধ আর দারিদ্র ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। গৃহহীন হয়ে অনেকেই নতুন জীবন শুরুর আসায় ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা শুরু করে। অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের জন্যে লিবিয়া উপকূলকে প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে পাচারকারীরাও।
মানবাধিকার সংস্থার তথ্যমতে, এবছরই ৩৫০ শরণার্থী সাগরে ডুবে মারা গেছে। বৃহস্পতিবার ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রীদেরও জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।