
গভীর রাতে জঙ্গিদের হত্যাযজ্ঞে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুর্কিনা ফাসোর ১০০ জন বাসিন্দা নিহত হন। হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১৩৮–এ পৌঁছেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (৬ জুন) এ হামলা হয়েছে। খবর আল-জাজিরা
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফান দুজেরিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আন্তোনিও গুতেরেস বিবৃতিতে বলেছেন, “বুর্কিনা ফাসোর সরকারের প্রতি জাতিসংঘের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।”
কোনো গোষ্ঠী এখনও এ সহিংসতার দায় স্বীকার করেনি। তবে দেশটিতে বিশেষত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জঙ্গি গোষ্ঠীদের হামলা প্রায়ই হয়।
দেশটির প্রেসিডেন্ট রচ মার্ক ক্রিশ্চিয়ান কাবোরে এ হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।
সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট জঙ্গি দলের যোগসাজশ রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে দেশটি।
আল-জাজিরা জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে সীমান্তবর্তী ইয়াঘা প্রদেশের সোলহান গ্রামে সসস্ত্র হামলা চালিয়ে প্রায় ১০০ গ্রামবাসীকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
ইয়াঘা প্রদেশের প্রধান শহর সেব্বা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের ছোট্ট গ্রাম সোলাহানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জঙ্গি তৎপরতা অনেকাংশে বেড়ে গেছে।
বছরের শুরু থেকে পশ্চিম আফ্রিকার বুর্কিনা ফাসো, মালি এবং নাইজার এই তিন দেশেই আল-কায়েদা এবং আইএস সমর্থিত স্থানীয় জঙ্গিদের হামলা বেড়েছে।
প্রাণহানির পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে স্থানীয়রা। জঙ্গিদের এসব হামলা কারণে গৃহহীন হয়েছে এগার লাখ মানুষ। গত পাঁচ বছর এটি বুর্কিনা ফাসোতে সবচেয়ে হামলা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।