• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২১, ০৫:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১০, ২০২১, ০৫:১৮ পিএম

সু চির বিরুদ্ধে বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ

সু চির বিরুদ্ধে বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির বিরুদ্ধে বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ আনল দেশটির জান্তা সরাকার। বিবিসি জানায়, নোবেলজয়ী এই নেতার বিরুদ্ধে ঘুষ হিসেবে নগদ অর্থ ও স্বর্ণ গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে অবৈধভাবে ওয়াকি-টকি আমদানি এবং বিশৃঙ্খলা উসকে দেওয়ার অভিযোগে ছয়টি মামলা করা হয়। মামলাগুলোর মধ্যে ব্রিটিশ শাসনামলের অফিশিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টস আইন লঙ্ঘনেরও অভিযোগ রয়েছে। যার সাজা হতে পারে ১৪ বছরের জেল।

বৃহস্পতিবার সামরিক জান্তা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ৬০ হাজার ডলার ও সাতটি সোনার বার ঘুষ গ্রহণ করেছেন। নতুন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে আরও অন্তত ১৫ বছরের কারাদণ্ডের সাজা পেতে পারেন সু চি।

একই সঙ্গে নতুন ঘোষণায় সেনা সরকার দাবি করেছে, রাষ্ট্রীয় জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোকসান গুনেছে সু চির সরকার। সু চি ছাড়াও এসব অভিযোগে তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে জান্তা।

এর আগে সু চির আইনজীবীরা সংবাদমাধ্যম এএফপিকে জানান, ১৪ জুন থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত এসব মামলার বিচারকাজ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে গত সোমবার অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠকের পর এএফপিকে তার আইনজীবী মিন মিন সোয়ে জানান, শুনানি শুরুর পর বাদী ও সাক্ষীদের কাছ থেকে সাক্ষ্য ও তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হবে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতাদের আটক করে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সামরিক বাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে। এরপর অং সান সু চিসহ দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করে সেনা সরকার।
 
আল-জাজিরা জানায়, সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর থেকে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে গৃহবন্দী আছেন ৭৫ বছর বয়সী অং সান সু চি। ২৪ মে প্রথমবার প্রকাশ্যে হাজির হয়ে আদালতে ৩০ মিনিটের শুনানিতে অংশ নেন তিনি। গৃহবন্দী হওয়ার পর মাত্র দুবার আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেয়েছেন সু চি।

অন্যদিকে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ এবং আন্দোলন চলছে। আন্দোলনরতদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৮৪৯ জন নিহত হয়েছে। আটক হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ জন।

আরও পড়ুন