• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২১, ০৬:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১২, ২০২১, ০৭:১৯ পিএম

পুলিৎজার পেলেন ফ্লয়েড হত্যার ভিডিও ধারণকারী

পুলিৎজার পেলেন ফ্লয়েড হত্যার ভিডিও ধারণকারী

২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল মার্কিন পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার দৃশ্য। বিংশ শতাব্দীতে বর্ণবাদের এই নির্মমতা নতুন বিল্পবের সূত্রপাত করে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশে দেশে শুরু হয় কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য সমঅধিকার আদায়ের আন্দোলন ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’। জর্জ ফ্লয়েড হত্যার আলোচিত সেই ভিডিও ধারণকারী কিশোরী পেলেন যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকতার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কার পুলিৎজার।

সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যুগে যুগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। তবে শুধু পেশাদার সাংবাদিকি নন, সচেতন নাগরিকরাও অনেক সময় সংবাদদাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে থাকেন। 

গত বছরের ২৫ মে মিনিয়াপলিসে চাচাত ভাইয়ের সাথে হাঁটতে গিয়ে ফ্লয়েডকে গ্রেপ্তারের ঘটনা দেখে ঠিক সেই কাজটিই করেছিলেন ১৮ বছর বয়সী ডার্নেলা ফ্রেজিয়া। পুলিৎজার কমিটি জানায়, ফ্রেজিয়ার সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিনকে দোষী সাব্যস্ত করতে ও মামলার বিচারের প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল ভিডিওটি। বিবৃতিতে বিশ্বজুড়ে জাতিগত বিভেদ বন্ধে আন্দোলনকে উৎসাহিত করা জন্যেও ফ্রেজিয়াকে সাধুবাদ জানায় কর্তৃপক্ষ। 

পুলিৎজার কমিটি বলছে, জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের সময় ভিডিও রেকর্ড করে সাহসী সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত গড়েছেন এই কিশোরী। এছাড়াও বিশ্বজুড়ে পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধেও সচেতনতা সৃষ্টি করেছে তার ভিডিও।

বছরের শুরুতে আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে ফ্রেজিয়ার বলেছিলেন, “আমি একজনকে আতঙ্কিত মানুষকে প্রাণ ভিক্ষা চাইতে দেখেই আমার ফোনে এই ঘটনাটি রেকর্ড করার চেষ্টা করি।

শুনানিতে তিনি আরও বলেন, “ফ্লয়েড বলছিলেন ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’। আতঙ্কিত হয়েছিলেন সে তার মাকে স্মরণ করছিল।”

মেনিয়াপপোলিসের সড়কের ওপর ফ্লয়েডের হত্যার সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেন ফ্রেজিয়া। অনলাইন ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর সারা বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করে এই ঘটনা।

আরও পড়ুন