• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২১, ০৯:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৬, ২০২১, ০৯:৪৩ পিএম

তৃণমূলকে ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গকে ভাঙতে চাইছে বিজেপি?

তৃণমূলকে ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গকে ভাঙতে চাইছে বিজেপি?

বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে কেন্দ্রের দল বিজেপি আর রাজ্যের প্রধান রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটের মাঠে বিজেপির ভরাডুবি পর একদিকে আধিপত্য নিয়ে চলছে দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, অন্যদিক সমান তালে এগোচ্ছে বিজেপি দলনেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বৈরথ। বিবিসির খবরে জানা গেছে, এমন পরিস্থিতির মাঝেই পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলো নিয়ে আলাদা রাজ্য গঠনের দাবি তুলেছেন এক বিজেপি নেতা।

আলিপুরদুয়ার থেকে নির্বাচিত বিজেপি এমপি জন বার্লা জানান, এই দাবিটি লোকসভাতেও তুলবেন তিনি। উত্তরবঙ্গের অনেক বিজেপি সংসদ সদস্য এই দাবির পক্ষে সমর্থন দিলেও, এটি দলীয় সিদ্ধান্ত নয় বলে মানছেন সবাই। যদিও বিজেপির এই দাবি নাকচ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা পাল্টা মন্তব্য করেছেন যে, উত্তরবঙ্গকে কাশ্মীর বানাতে চাইছে বিজেপি।

বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরপরই পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করার এমন দাবি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিজেপির রাজনীতি। তবে দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জনপ্রতিনিধি হিসেবে বার্লা জনতার দাবি তুলতেই পারেন। এ বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত হয়নি।

রাজ্য ভাগের প্রশ্নে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য সরকারের অনুমোদন ছাড়া এ ধরণের কোন পদক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ দুটোই পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে। কোন রকম ডিভাইড এন্ড রুল হতে দেব না আমরা।”

নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় নিয়েও তির্যক মন্তব্য করেছেন এই নেত্রী। নির্বাচনে এত বড় ধাক্কা খেয়েও বিজেপির লজ্জা হয়নি বলে মনে করেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গকে ভাগ করার উদ্যোগ নিলে জনগণ উপযুক্ত জবাব দেবে বলেও সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পশ্চিমবঙ্গকে ভাগ করার দাবি তুললে রাজ্যের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরাও। এর পেছনে বিজেপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে বলে মনে করছেন সবাই। কেননা বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমের চাইতে উত্তরবঙ্গে তুলনামূলক ভাল ফল করার পরেও তৃণমূল কর্মীদের চাপের মধ্যেই রয়েছেন বিজেপি নেতারা। অত্যাচার-ভাঙচুরেরও অভিযোগ করেছেন অনেকে। তাই কর্মীদের বাঁচাতেই বিজেপি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের দাবি তুলেছে বলে অভিযোগ রাজ্যের অন্য দলগুলোর।

আরও পড়ুন