• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২১, ১০:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৬, ২০২১, ১০:০২ পিএম

করোনা প্রতিরোধে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন

করোনা প্রতিরোধে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন

ওষুধের মাধ্যমে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা না বাড়িয়ে দেহে রোগ প্রতিরোধকারী শক্তিধর অ্যান্টিবডি প্রবেশের মাধ্যমে করোনাকে পরাস্ত করার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা। বিবিসি জানায়, একে ‘যুগান্তকারী’ উদ্ভাবন হিসেবে দেখছে বিশেষজ্ঞরা।

স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের মাধ্যমে করোনায় মৃত্যু ঠেকানোর উপায় আবিষ্কারের প্রায় এক বছর পর গবেষকরা নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করলেন। যদিও এই চিকিৎসায বেশ ব্যয়বহুল।

এই পদ্ধতিতে স্যালাইনের মাধ্যমে করোনা নির্মূলের জন্য এর বিরুদ্ধে কার্যকর শক্তিধর অ্যান্টিবডি মানব দেহের শিরায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়। পরীক্ষায় দেখা গেছে, কোভিডে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের প্রতি তিনজনের একজন এই পদ্ধতিতে সেরে উঠেছেন।

এই চিকিৎসার মাধ্যমে করোনায আক্রান্ত প্রতি ১০০ জনের ছয় জনের জীবন রক্ষা সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে যেসব রোগীর দেহে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যান্টিবডি তৈরি হয় না তাদেরকেই এই চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের। এতে ১ হাজার থেকে ২ হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ পড়তে পারে।

ব্রিটেনের প্রায় ১০ হাজার করোনা রোগীর ওপর এই চিকিৎসার প্রয়োগ করা হয়েছে। মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ট্রিটমেন্ট নামের এই চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে রিজেনারন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে দেহের কোষগুলোর প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বাড়ায় করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে না। এই পদ্ধতি মৃত্যু ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি চিকিৎসার সময় বাঁচায় ও ভেন্টিলেটর প্রয়োজনীয়তাও কমায়।

আরও পড়ুন