• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২১, ০৩:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২২, ২০২১, ০৩:৫৭ পিএম

ভ্যাকসিন ফুরিয়ে আসছে, সতর্ক করলো ডাব্লিউএইচও

ভ্যাকসিন ফুরিয়ে আসছে, সতর্ক করলো ডাব্লিউএইচও
প্রতীকী ছবি

দরিদ্র দেশগুলোর হাতে থাকা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন মজুত ফুরিয়ে আসছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। উগান্ডা, জিম্বাবুয়ে এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোসহ বেশকিছু দেশ এরই মধ্যে তাদের ভ্যাকসিন ফুরিয়ে যাওয়ার কথা ডব্লিউএইচওকে জানিয়েছে।

বিবিসি প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ডব্লিউএইচওসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা মিলে গঠিত ভ্যাকসিন তহবিল ‘কোভ্যাক্স’ থেকে এ পর্যন্ত ১৩১টি দেশে ৯ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বিতরণ করা হয়েছে। ডব্লিউএইচওর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ড. ব্রুস আয়লওয়ার্ড এ তথ্য জানিয়েছেন।

ড. আয়লওয়ার্ড বলেন, যে হারে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছ তাতে এই সংখ্যা পর্যাপ্তের ধারেকাছেও না।

সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় কোভিড ব্রিফিংয়ে ড. আয়লওয়ার্ড জানান, কোভ্যাক্স তহবিলে ৮০টি নিম্ন আয়ের দেশের অর্ধেকই ভ্যাকসিন না থাকায় এখন টিকাদান কর্মসূচি চালু রাখতে পারছে না।

এরই মধ্যে অনেক দেশ ভ্যাকসিন স্বল্পতার কারণে তারা গণভ্যাকসিন কার্যক্রম চালু রাখতে পারছে না বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

অন্যদিকে আফ্রিকার অনেকগুলো দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দিয়েছে। ফলে সেসব দেশে সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।

গতকাল সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামফোসা বিশ্বের ধনী দেশগুলোর ভ্যাকসিন আটকে রাখার সমালোচনা করে এমন আচরণ না করার আহ্বান জানান। দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার করোনার সংক্রমণ রোধে বেশ হিমশিম খাচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট রামফোসা জানান, কোভ্যাক্স টিকা তহবিল থেকে মাত্র চার কোটি ভ্যাকসিন গিয়েছে গোটা আফ্রিকা মহাদেশে। এতে জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন পাবেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল জানান, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য তার দেশ সাড়ে পাঁচ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেবে। সেখান থেকে চার কোটি ৪০ লাখ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আর বাকি এক কোটি ১০ লাখ নিজেরা বণ্টন করবে।

এদিকে, সম্প্রতি ধনী দেশগুলোর জোট জি৭ সম্মেলনে এ বছরের মধ্যে ১০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য দেবে। জি৭ জোটের সদস্য হিসেবে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও জাপান।

জাগরণ/এসকে