• ঢাকা
  • শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২১, ১১:১২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৬, ২০২১, ১১:১২ এএম

ইরানে চালু হলো ইসলামিক ডেটিং অ্যাপ

ইরানে  চালু হলো ইসলামিক ডেটিং অ্যাপ
ইরানে নারী ও পুরুষ সঙ্গী খোঁজার জন্য ডেটিং অ্যাপসগুলো বেশ জনপ্রিয় ● বিবিসি

ইরান নতুন একটি ডেটিং অ্যাপ চালু করেছে, যার মাধ্যমে এই ইসলামিক প্রজাতন্ত্রে নারী পুরুষ বিয়ে করার জন্য পরস্পরের সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পাবেন। এর লক্ষ্য যাতে বিবাহিত দম্পতিদের বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়। দেশটিতে বিবাহ বিচ্ছেদের হার ক্রমশ বাড়ছে এবং শিশু জন্মের হারও কমে যাচ্ছে।

বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০২০ সালে ১.২৯% শতাংশ কমে গেছে।

এই ইসলামিক অ্যাপ-টির নাম হামদান, ফারসি ভাষায় যার মানে ‘সঙ্গী’।

ইসলামিক মূল্যবোধ প্রচারের লক্ষ্যে গঠিত ইসলামিক প্রোপাগান্ডা অর্গানাইজেশান নামে একটি সংস্থার উদ্যোগে এই অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে।

দাবি করা হচ্ছে এই অ্যাপটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ব্যবহার করে  ‘শুধু স্থায়ী বৈবাহিক সম্পর্কে আগ্রহী অবিবাহিত পুরুষদের’ জন্য সঠিক জীবনসঙ্গী খুঁজে দেবে এবং একমাত্র একজন স্ত্রী হবেন এমন পাত্রী খুঁজে দেবে।

ইরানে নারী ও পুরুষ সঙ্গী খোঁজার জন্য ডেটিং অ্যাপসগুলো বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু এখন থেকে শুধু বৈধ ডেটিং অ্যাপ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে ‘হামদান’।

হামদানের ওয়েবসাইট বলছে অ্যাপ আগে ব্যবহারকারীদের পরিচয় যাচাই করা হবে এবং জীবনসঙ্গী খোঁজার কাজ শুরু করার আগে তাদের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার পরীক্ষা দিতে হবে।

হামদান অ্যাপ যখন বিয়ে করতে আগ্রহী এমন পুরুষ ও নারী জীবনসঙ্গী খুঁজে পাবে যারা একে অন্যের জন্য উপযুক্ত, তখন ‘ছেলে ও মেয়ের দুই পরিবারকে তারা একসাথে পরিচয় করিয়ে দেবে এবং সেখানে উপস্থিত থাকবেন তাদের সংস্থার উপদেষ্টারা’, এবং বিয়ের পর চার বছর তারা ওই বিবাহিত দম্পতির ‘সাথে সাথে’ থাকবে।

হামদান অ্যাপটি তৈরি করেছে তেবিয়ান কালচারাল ইনস্টিটিউট। তারা বলছে এই অ্যাপ একটা সুস্থ পারিবারিক মূল্যবোধ তৈরি করবে। তারা বলছে ইরানের শত্রু এবং ‘শয়তান’ এর হুমকির কারণে পরিবারগুলোতে ইসলামিক মূল্যবোধ এখন বিপন্ন।

নাগরিক তথ্য নথিভুক্ত করার জাতীয় সংস্থা ন্যাশানাল অর্গানাইজেশান ফর সিভিল রেজিস্ট্রেশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চ এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ইরানে তিন লক্ষ সাত হাজার তিনশ বিবাহ এবং ৯৯ হাজার ছয়শ বিবাহ বিচ্ছেদ নথিভুক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে ইরানের বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০২০ সাল ১.২৯% শতাংশ কমে গেছে।

ইরানের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষের বয়স ৩৫ এর নিচে। কিন্তু দেশটির সরকার হুঁশিয়ার করেছে যে তারা যদি কোন পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আগামী তিন দশকের মধ্যে ইরান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক মানুষের দেশে পরিণত হবে।

মার্চ মাসে ইরানের সংসদে একটি বিল পাশ করা হয়েছে যার আওতায় সরকার বিয়ে করার জন্য এবং বিবাহিত দম্পতিদের দুটির বেশি সন্তান নেবার জন্য আর্থিক প্রণোদনা দিতে পারবে। এই বিলটি গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

গত বছর রাষ্ট্র পরিচালিত হাসপাতালগুলোতে পরিবার পরিকল্পনা ব্যবস্থা সীমিত করার কাজও শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। পুরুষদের ভ্যাসেকটমি করানোর ব্যবস্থা এখন তুলে দেয়া হয়েছে এবং যেসব নারীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে শুধু তাদেরই জন্মনিরোধক দেয়া হচ্ছে।

জাগরণ/এমএ