• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২১, ১০:২৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৯, ২০২১, ১০:২৮ এএম

মাটির তৈরি চুলোয় রান্না করেন ফাস্টলেডি

মাটির তৈরি চুলোয় রান্না করেন ফাস্টলেডি

লিলিয়া প্যারদেস। গ্রাম্যবধু থেকে এখন রাজরানি।  তিনি লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর নতুন ফাস্টলেডি। 

দেশটির দরিদ্রতম জেলা আঙ্গুয়ায় বসবাস লিলিয়ার। জনাজীর্ণ বাড়িতেই কেটেছে তার ২০ বছর। গবাদি পশুপালন, মাটির তৈরি চুলোয় রান্না করেন তিনি এখনও।

পেরুর ৪০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্টের নেই দামি গাড়ি। নেই ব্যাংক ব্যালেন্স; এমনকি খোদ রাজধানী লিমাতে থাকার মতো নিজস্ব কোনও বাড়িও নেই নতুন প্রেসিডেন্টের।

লিলিয়া বলেন, অট্টালিকা বড় কথা নয়, কেননা রাজত্ব উপভোগ করতে যাচ্ছি না। রাজভবনে শানশওকাত নয় বরং জনগনের সেবার দিকেই মনোযোগ থাকবে আমাদের।

২৮ জুলাই (বুধবার) শপথ নিয়েছেন পেরুর নতুন প্রেনিডেন্ট পেদ্রো ক্যাস্তিলো। শপথ শেষে ফার্স্ট লেডি লিলিয়া প্যারদেস বলেন, ‘সবার জন্য কাজ করবো, বিশেষ করে গরিবদের জন্য। মানুষের জন্য এমন কিছু করতে চাই, যা এর আগে কোনও প্রেসিডেন্ট করেননি।’

রাষ্ট্রপতির বাসভবনে যাওয়ার আগমুহূর্তে গ্রামের প্রতিবেশীদের সঙ্গে শামিল হন প্রার্থনায়। লোকজ পোশাকও পরেন। ধনী-গরিবের ভেদাভেদ ভুলে একই ছায়াতলে অনন্য নজির গড়লেন এ দম্পতি।

২ সন্তান নিয়ে ৪ সদস্যের ছোট্ট পরিবার এ দম্পতির। বড়বোনের সাথে যৌথ পরিবারে বাস। গত ১ দশকেও সরকারি স্কুলে পড়েননি পেরুর কোনও প্রেসিডেন্টের সন্তান। তবে ফাস্টলেডির ঘোষণা, দামি স্কুল নয়, সরকারি স্কুলেই পড়বে তার সন্তানরা। চ্যানেলটোয়েন্টিফোর।

জাগরণ/এসএসকে