• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২১, ০২:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৭, ২০২১, ০২:১৭ পিএম

প্রাকৃতিক গ্যাসের বৈশ্বিক বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটছে

প্রাকৃতিক গ্যাসের বৈশ্বিক বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটছে
ফাইল ফটো।

মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাসের বৈশ্বিক বাণিজ্য। চলতি বছরের মে মাসে বিশ্বজুড়ে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার। এ সময় পণ্যটির ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা মেটাতে রফতানি বাড়িয়েছে শীর্ষ উৎপাদক দেশগুলো। পাশাপাশি বেড়েছে পণ্যটির উত্তোলন ও আমদানি। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (ইআইএ) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইআইএর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্নত দেশ বিশেষ করে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থাভুক্ত (ওইসিডি) দেশগুলোতে মে মাসে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ব্যবহারের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২ কোটি ৫৯ লাখ ঘনফুটে।

গত বছর করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদায় টান পড়ে। এ সময় পণ্যটির চাহিদা বাড়ার গতি ছিল খুবই মন্থর। তবে চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হতে শুরু করায় প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদায় উল্লম্ফন দেখা দেয়। বিশ্বজুড়ে উষ্ণ আবহাওয়া চাহিদা বাড়াতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ খরার কারণে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে।

আইইএ জানায়, চলতি বছরের শুরু থেকে মে মাস পর্যন্ত প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। রফতানিও একই হারে বেড়েছে। ইআইএর গবেষকরা বলেন, মে মাসে ওইসিডিভুক্ত দেশগুলোর প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় রফতানির পরিমাণ দাঁড়ায় ৬ কোটি ৫০ লাখ ঘনফুটে। রফতানি বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওইসিডিভুক্ত আমেরিকান অঞ্চলে এক বছরের ব্যবধানে প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ওইসিডিভুক্ত দেশগুলোতে প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি বেড়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। তবে পাইপলাইনের মধ্য দিয়ে রফতানি ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এদিকে একই সময়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ১ শতাংশ।

ইআইএ জানায়, রফতানির পাশাপাশি আমদানিও লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। ওইসিডিভুক্ত অঞ্চলে এক বছরের ব্যবধানে প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৮ কোটি ৫৫ লাখ ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে মে পর্যন্ত আমদানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২ শতাংশ।

ওইসিডির সদস্য দেশগুলোতে মে মাসে ১২ কোটি ৮৩ লাখ ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উত্তোলন বেড়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তোলন ৫ দশমিক ২ শতাংশ বাড়লেও একই হারে কমেছে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার উত্তোলন। এদিকে মে মাসে উত্তোলন বাড়লেও চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে উত্তোলন ছিল নিম্নমুখী। এ সময় ওইসিডি দেশগুলোতে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৯ শতাংশ হ্রাস পায়।

চলতি বছর উত্তর সাগরে অপ্রত্যাশিত সংকট ইউরোপের অভ্যন্তরীণ প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ফলে পাইপলাইনের মাধ্যমে আমদানিও ব্যাহত হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি বছর ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এশিয়ার দেশগুলোতে পণ্যটির ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা ইউরোপের বাজারকে আরও বেশি প্রতিযোগিতার মুখে ফেলতে পারে।

   
জাগরণ/এসকেএইচ