• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২১, ০১:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২২, ২০২১, ০১:৫০ পিএম

সিসার বৈশ্বিক উত্তোলন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে

সিসার বৈশ্বিক উত্তোলন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে
ফাইল ফটো।

করোনা মহামারী প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই কমতে শুরু করে সিসার বৈশ্বিক উত্তোলন। ফলে সংকটের মুখে পড়ে ব্যাটারি, রঞ্জক, গোলা বারুদ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাত। তবে চলতি বছর বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ধারায় ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে সিসার বৈশ্বিক উত্তোলন খাত। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তথ্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ডাটার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে গ্লোবাল ডাটা জানায়, এ বছর সিসার বৈশ্বিক উত্তোলন ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় বিশ্বজুড়ে সব মিলিয়ে ৪৬ লাখ ৯০ হাজার ৩০০ টন সিসা উত্তোলিত হতে পারে। উত্তোলন প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে চীন ও পেরু। এর মধ্যে চীনের উত্তোলন ৩ দশমিক ৩ শতাংশ ও পেরুর উত্তোলন ৯ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়বে বলে জানায় গ্লোবাল ডাটা।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০২৫ সাল পর্যন্ত সিসা উত্তোলনে ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে বড় অবদান রাখবে চীন, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া ও কানাডা।

গ্লোবাল ডাটার খনিজ সম্পদবিষয়ক বিশ্লেষক বিনিথ বাজাজ বলেন, কভিড-১৯ ভাইরাসের প্রকোপ মোকাবেলায় গত বছর দেশে দেশে লকডাউনসহ নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ফলে বেশির ভাগ খনিতে বন্ধ হয়ে যায় সিসা উত্তোলন। বাধাগ্রস্ত হয় ব্যবহারিক ধাতুটির বৈশ্বিক সরবরাহও।

সিসা উত্তোলনে বিশ্বের প্রথম সারির একটি দেশ পেরু। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ছয় সপ্তাহ ধরে দেশটির অ্যান্তামিনা খনির কার্যক্রম লকডাউনের কারণে বন্ধ ছিল। প্রথম সারির অন্য একটি দেশ মেক্সিকো। গত বছর শ্রমিকদের অবৈধ অবরোধের মুখে দেশটির সাম রাফায়েল খনির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া আরো নানা কারণে সিসার বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের মধ্যে পড়ে। ভেডান্তার মালিকানাধীন স্কর্পিয়ান খনিতে ধস, বলিডেনের মালিকানাধীন টারা খনির আকরিক বহনকারী বেল্টে ভাঙনসহ আরো নানা বিষয় সিসা খাতকে বিপর্যস্ত করে তোলে।

এর মধ্যে লাতিন আমেরিকার দেশ পেরু সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। দেশটি বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ সিসা উত্তোলনকারী। কিন্তু গত বছর দেশটির উত্তোলন ২১ দশমিক ৯ শতাংশ হ্রাস পায়। ফলে শীর্ষ তালিকায় পঞ্চম স্থানে নেমে যায় পেরু। বৈশ্বিক সিসা উত্তোলনে প্রথম চীন ও দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়া। করোনাকালীন সংকট থেকে মুক্তি পায়নি এ দুটি দেশও। এর মধ্যে চীনে সিসা উত্তোলন ১ দশমিক ৮ শতাংশ ও অস্ট্রেলিয়ায় ২ দশমিক ১ শতাংশ হ্রাস পায়।

বিনিথ বাজাজ বলেন, গত বছরের এসব সংকট কাটিয়ে চলতি বছর সিসা উত্তোলনে প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরবে বিশ্ব। ধাতুটির কম্পাউন্ড অ্যানুয়াল গ্রোথ রেট (সিএজিআর) ২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়তে পারে। প্রবৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৫ সালে সিসার বৈশ্বিক উত্তোলনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫২ লাখ টনে। এ প্রবৃদ্ধিতে প্রধান অবদান রাখবে চীন, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া ও কানাডা। চলতি বছর এসব দেশ সব মিলিয়ে ২৮ লাখ টন সিসা উত্তোলনে সক্ষম হবে। ২০২৫ সালে এসব দেশের উত্তোলন দাঁড়াবে ৩১ লাখ টনে।

   

    
জাগরণ/এসকেএইচ