• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১, ০৫:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১, ০৫:৪২ পিএম

করোনার মধ্যেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে লেপটোস্পাইরোসিস

করোনার মধ্যেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে লেপটোস্পাইরোসিস
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে পুরো বিশ্ব। ভাইরাসটির নতুন নতুন ধরনের কাছে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোও ধরাশায়ী। এর মধ্যেই ভয় ধরাচ্ছে নতুন এক রোগ।

কুকুর ও ইঁদুরের প্রস্রাব থেকে ছড়িয়ে পড়ছে লেপটোস্পাইরোসিস নামের রোগটি; যা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রতিটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সতর্কবার্তা। সময় থাকতেই সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাস্তায় জমে থাকা পানিতে মিশে থাকে কুকুর কিংবা ইঁদুরের প্রস্রাব। তা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে বাঁধাচ্ছে মারত্মক এই অসুখ।

জানা গেছে, এই রোগে মৃত্যুহার যথেষ্ট। অসুখ হওয়ার আগেই তাই সর্তকতা নিতে চায় রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ডায়রেক্টর অফ হেলথ সার্ভিস এবং ডায়রেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, এই রোগ চারপেয়েদেরই হয়। কুকুর–ইঁদুর কিংবা গবাদি পশুর শরীরে এক ধরনের স্পাইরাল ব্যাকটেরিয়ার দেখা মেলে। তার নাম লেপটোস্পাইরা। এর থেকেই ছড়ায় অসুখ। আক্রান্ত পশুর প্রস্রাবে থিকথিক করে সেই ব্যাকটেরিয়া। যা শরীরে লাগলেই বিপদ। পশুর প্রস্রাব ত্বকের সংস্পর্শে এলেই অসুখ ছড়ায়।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় এবং বর্ষা পরবর্তী স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া এই রোগ ছড়ানোর পক্ষে অনুকূল। শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশের পর উপসর্গ দেখা দিতে ৫ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে। কোনো কোনো সময় নোংরা প্রস্রাব মাড়িয়ে আসার এক মাস পরেও অসুখ দেখা দিতে পারে। চোখ লাল হওয়া, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, কোনো কারণ ছাড়াই আচমকা জন্ডিস, তলপেটে ব্যথা এমন কোনো উপসর্গ দেখলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

যারা নালা পরিষ্কার করেন তাদেরই সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাই যাদের নোংরায় কাজ করতে হয় এমন পেশার লোকদের গ্লাভস এবং পায়ে জুতা পরে কাজ করতে বলা হয়েছে।

এসকে