ভিক্ষুকের কথা মাথায় আসলেই প্রথম যে বিষয়টি আমাদের মনে ভেসে ওঠে তা হলো জীর্ণ-শীর্ণ এক অবয়ব যার দিন পার হয় দুঃখ, দারিদ্র্য আর অর্থকষ্টে। কিন্তু এর ভিন্ন দৃশ্যও কখনও কখনও উপস্থিত হয় আমাদের সামনে, জানায় বিলাসবহুল জীবন যাপন করা ভিক্ষুকের কথা।
তেমনই একজন ভিক্ষুক ভরত জৈন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভিক্ষুক ভরত জৈন ভারতের সবচেয়ে ‘ধনী’ ভিখারি।
তিনি মূলত ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ের প্যারেল এলাকায় ভিক্ষা করেন।
৪৯ বছর বয়সী ভরত জৈনের মাসিক আয় ৭৫ হাজার রুপির বেশি। আরও আছে দুটি অ্যাপার্টমেন্ট যার একেকটির দাম আনুমানিক ৭০ লাখ রুপি। বাবা, দুই ভাই, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ভরতের সংসার। ভিক্ষাবৃত্তির বাইরে তার একটি দোকান আছে। ওই দোকান ভাড়া দিয়ে মাসে ১০ হাজার রুপি পান তিনি।
শুধু ভরত জৈন নন, এই তালিকায় রয়েছেন কলকাতার লক্ষ্মী দাসও। ১৯৬৪ সাল থেকে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন লক্ষ্মী দাস। তখন তার বয়স মাত্র ১৬ বছর। বিগত পঞ্চাশ বছরের বেশি ভিক্ষাবৃত্তি করেই রোজগার করছেন। জানা যায় লক্ষ্মী দাসের মাসিক আয় ৩০ হাজার রুপি। ব্যাংকে বিপুল টাকাও গচ্ছিত রয়েছে তার।
জাগরণ/এমএ