• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২১, ১২:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৪, ২০২১, ১২:২৩ পিএম

ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত না হতে বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত না হতে বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
সংগৃহীত ছবি

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) এক সম্মেলনে এমন কথা বলেলেন সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন। এর মিউটেশন বেশি হলেও এটা কতটা মারাত্মক তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ড. স্বামীনাথন রয়টার্সকে বলেন, উচ্চ সংক্রমণশীল ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। সাউথ আফ্রিকায় এটি যে হারে ছড়াচ্ছে, তাতে এই ভ্যারিয়েন্ট অচিরেই সবচেয়ে প্রভাবশালী হতে চলেছে। তবে এক্ষেত্রে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি। 

বিজ্ঞানী সৌম্য বলেন, আমরা এক বছর আগের তুলনায় ভিন্ন একটা সময়ে আছি।

গবেষনায় দেখা গেছে, ওমিক্রনের রয়েছে ‘কমন কোল্ড’ তথা সাধারণ ফ্লু-এর কিছু জিনগত বৈশিষ্ট্য। 

কেমব্রিজ গবেষক ভেঙ্কি সৌন্দ্ররাজন জানালেন, ওমিক্রন নিজেকে ‘মানুষ্য উপযোগী’ করে গড়ে তুলেছে। যার কারণে এটি সহজে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে পারছে। ভাইরাসটির পূর্ববর্তী ভ্যারিয়েন্টগুলোর সঙ্গে এটা একটা বড় অমিল।

সৌন্দ্ররাজন  জানান, কমন কোল্ডের পাশাপাশি ওমিক্রনের মধ্যে এইচআইভিতে দেখা যায় এমন জেনেটিক সিকোয়েন্সও দেখা গেছে। আর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি এইচআইভি রোগীর বাসও এই ভ্যারিয়েন্টের উৎপত্তিস্থল হিসেবে চিহ্নিত দক্ষিণ আফ্রিকাতেই।

ওমিক্রনের অস্তিত্ব প্রকাশের পর দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে প্রায় বাদবাকি বিশ্বের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে চললেও, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বেশ কিছু দেশেই এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে এমন কিছু ব্যক্তির শরীরে, যারা কোথাও ভ্রমণ করেন নি।

গোটা দুনিয়া এ মুহুর্তে ওমিক্রন নিয়ে চিন্তিত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)'র পরিচালক ড. রোশেলে ওয়েলেনস্কি শুক্রবার  (৩ ডিসেম্বর) জানিয়েছেন, ওমিক্রন প্রভাবশালী ভ্যারিয়েন্ট হলেও তাদের চিন্তা বেশি এখনও ডেলটা নিয়েই। কেননা যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রতিদিন ৮৯ হাজার কোভিড রোগী শনাক্ত হচ্ছে যাদের ৯৯.৯ শতাংশই ডেলটায় আক্রান্ত।

জাগরণ/এসএসকে