• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২২, ০৮:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৬, ২০২২, ০২:১৯ এএম

সাংবাদিককে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

সাংবাদিককে  অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

হোয়াইট হাউসের পূর্ব কক্ষে চলছিল সংবাদ সম্মেলন চলছিল। 

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অনেক সাংবাদিক। 

এ সময় ফক্স নিউজের এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ক্ষিপ্ত হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেন। এর পরপরই আবার ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি।

বাইডেনের গালির ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নানা প্রান্ত থেকে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার হোয়াইট হাউসের পূর্ব কক্ষে সংবাদ সম্মেলন চলছিল। অনুষ্ঠান শেষের দিকে ফক্স নিউজের সাংবাদিক পিটার ডুসি মুদ্রাস্ফীতি রোধ করা প্রেসিডেন্টের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে কি না জানতে চেয়েই প্রশ্ন ছুড়ে দেন, এমন প্রশ্নে উত্তেজিত হয়ে বাইডেন বলেন, দ্যাটস এ গ্রেট অ্যাসেট, মোর ইনফ্লেশন (আরও মুদ্রাস্ফীতি, এটা বড় একটা সম্পদ )। এরপরেই অশালীন কথা বের হয়ে যায় বাইডেনের মুখ থেকে। তিনি বলেন, হোয়াট এ স্টুপিড সান অফ এ বি।

খবরে বলা হয়েছে, বাইডেনের মুখ ফসকেই এমন কথা বের হয়ে গেছে। মাইক্রোফোন যে চালু ছিল তিনি সেটা বুঝতে পারেননি। তাই অনেক শোরগোলের মাঝেও তার গালিটি শুনে ফেলেন উপস্থিত সকলেই। তারপর শুরু হয় গুঞ্জন। তারপর বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সবার প্রশ্ন বাইডেনের মতো একজন ভদ্রলোকের মুখ থেকে কিভাবে এমন কথা বের হল।

সাংবাদিকের প্রতি এমন আচরণের হোয়াইট হাউস কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে ঘটনার ১ ঘণ্টার মধ্যে বাইডেন সাংবাদিক পিটার ডুসিকে ফোন দিয়ে এটা ব্যক্তিগতভাবে না নেওয়ার আহ্বান জানান।

ডুসি সোমবার ফক্স নিউজকে বলেন, ঘটনার পরপরই প্রেসিডেন্ট তার তার ফোনে কল করে উক্ত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।

তিনি বলেন, সাংবাদিক হিসেবে পেশার কাছে দায়বদ্ধতা থেকে তিনি প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করেছিলেন। উত্তর দেওয়ার পরিবর্তে তিনি যদি গালি দিয়ে থাকেন সেটা একান্তই প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি।