• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২, ০১:১১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২, ০১:১১ এএম

এক তরুণীর শরীরে ৯ মাস বাসা বেঁধেছিলো করোনা

এক তরুণীর শরীরে ৯ মাস বাসা বেঁধেছিলো করোনা
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীর শুরুর দিকে গেলো বছর দক্ষিণ আফ্রিকার এই নারী খবরের শিরোনামে এসে ছিলেন, তার দেহে তিন মাসের বেশি সময় ভাইরাসটির বসবাসের কারণে। 

ঠিক একই রকম খবর আবারও শিরোনামে এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার এই নারী শরীরে ৯ মাস ধরে বাসা বেঁধেছিলো করোনাভাইরাস। এই সময়ে ভাইরাসটি ২১ বার রূপ বদলেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার সেই তরুণী এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যেই তিনি সংক্রমিত হন করোনাভাইরাসে। ঠিক মতো চিকিৎসা না হওয়ায় তার করোনা রোগ সেরে উঠছিলো না। 

দক্ষিণ আফ্রিকার স্টেলেনবস এবং কোয়াজুলু-নাটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ২২ বছরের এই তরুণীকে এক গবেষণা পরিচালনা করেছেন। 

এই গবেষণার ফল প্রকাশ করে তারা বলছেন, ওই তরুণীর শরীরে থাকা অবস্থাতেই ২১ রকম মিউটেশন করেছে করোনাভাইরাস। 

সংক্রমণের ৯ মাসেও যখন তার করোনা পরীক্ষা নেগেটিভ হচ্ছিলো না, তখন চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল (এইচআইভির ওষুধ) ওষুধ সেবন শুরু করেন।

এই ওষুধ সেবনের কারণে তার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এরপর ৬ থেকে ৯ সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।

বিজ্ঞানীদের দাবি, যে সব ব্যক্তিদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম, তাদের শরীরে করোনাভাইরাস প্রবেশ করলে নতুন ধরন জন্মানোর সম্ভাবনা রয়েছে। 

ওই তরুণী আক্রান্ত হয়েছিলেন বেটা ধরনে, যা দক্ষিণ আফ্রিকাতেই প্রথম পাওয়া যায়। আবার ওমিক্রনও দক্ষিণ আফ্রিকাতেই প্রথম পাওয়া গেছে। 

কোয়াজুলু-নাটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা মনে করেন, করোনাভাইরাসের এই ঘটনাটি নতুন ধরন কিভাবে তৈরি হচ্ছে, সে সম্পর্কে পথ দেখাবে। 

তারা অবশ্য বলছেন এটি এখনও তত্ত্বের পর্যায়ে রয়েছে। কারণ, এনিয়ে আরও বিস্তর গবেষণা করা প্রয়োজন বলেই মত দেশটির গবেষকদের। 

জাগরণ/কেএপি