• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২, ১২:৩৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২, ১২:৩৭ এএম

সুইস ব্যাংকের ১৮ হাজারের বেশি অ্যাকাউন্ট ফাঁস

সুইস ব্যাংকের ১৮ হাজারের বেশি অ্যাকাউন্ট ফাঁস
ফাইল ফটো

সুইস ব্যাংকের বড় ধরনের তথ্য ফাঁসের পর সুইজার‌ল্যান্ডের পুরো আর্থিক খাতই বিপর্যয়ের হুমকিতে পড়েছে। ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের প্রধান রাজনৈতিক দল সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দেশটিকে অর্থপাচারের কালো তালিকাভুক্তির প্রস্তাব করলে এই হুমকি তৈরি হয়।   

ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল দ্য ইউরোপীয়ান পিপলস পার্টি (ইপিপি) সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইইউর সর্ম্পক পুনর্মূল্যায়ন এবং দেশটিকে ইইউর  আর্থিক অপরাধের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্তের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হবে কিনা সেই বিষয়টিও পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কোনও পদক্ষেপ সুইজারল্যান্ডের আর্থিক খাতের জন্য বিপর্যয়কর হবে। এতে দেশটিকে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ইরান, মিয়ানমার, সিরিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মতো দুর্ভোগ পোহাতে হবে এবং কঠোর বিধিনিষিধে পড়তে হবে।

ইউরোপের ডানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ইপিপি’র অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সমন্বয়ক মারকাস ফেরবার বলেন, যখন সুইস ব্যাংক আন্তর্জাতিক অর্থপাচারের মান সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়োগে ব্যর্থ হয়, তখন সুইজারল্যান্ড নিজেই উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কর্তৃপক্ষ হয়ে উঠে। 

তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে যখন অর্থপাচার সংক্রান্ত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ তৃতীয় দেশগুলোর তালিকা পুনর্বিবেচনার জন্য তোলা হবে, তখন সুইজারল্যান্ডকে এই তালিকায় যোগ করার বিষয়টি ইউরোপীয়ান কমিশনের বিবেচনায় নেয়ার দরকার আছে।  

সোমবার গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইস ব্যাংকের ১৮ হাজারের বেশি হিসাবের ৩০ হাজার মালিকের নথি ফাঁস হয়েছে। এসব ফাঁস হওয়া নথিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বৈরশাসক, দুর্নীতিবাজ গোয়েন্দা কর্মকর্তা, নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা ব্যবসায়ী, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী, মাদক ও মানব পাচারকারীর অ্যাকাউন্টের তথ্য রয়েছে। তাদের অ্যাকাউন্টে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ সব মিলিয়ে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

ক্রেডিট সুইচের এসব তথ্য ফাঁস করেছেন ব্যাংকটির এক স্বঘোষিত হুইসেলব্লোয়ার (গোপন তথ্য ফাঁসকারী)। তিনি ব্যাংকটির ১৮ হাজারের বেশি হিসাব সম্পর্কিত তথ্য জার্মান সংবাদমাধ্যম সুইডডয়চে সেইটুংকে সরবরাহ করেন। এরপর সেসব নথি বিশ্লেষণের কাজে যুক্ত হয় অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন অর্গানাইজিং ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস, গার্ডিয়ান, লা মঁদেসহ ৩৯ দেশের ৪৮টি সংবাদমাধ্যম। গার্ডিয়ান।

জাগরণ/আন্তর্জাতিক/বিশ্বঅর্থনীতি/কেএপি