
ভারতের পাঁচটি রাজ্যের সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে উত্তরপ্রদেশসহ চারটি রাজ্যেই দাপট দেখিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের।
এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দু’দফা হারের পর দলের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসাবে তখন দলের দায়িত্ব বুঝে নেন সোনিয়া গান্ধী। ২০২০ সালে দলের একটি অংশের বিক্ষোভের মুখে তিনিও পদত্যাগ করতে চান।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে আজ বৈঠকে বসবে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। তবে বৈঠকের আগে গুঞ্জ উঠেছে- সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে পদত্যাগ করবেন।
কংগ্রেস মুখপাত্র অবশ্য এ খবরকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলছেন, ক্ষমতাসীন বিজেপির নির্দেশে কাল্পনিক উৎস থেকে উদ্ভূত এই ধরনের প্রমাণহীন প্রচার দেখানো একটি টিভি চ্যানেলের পক্ষে অন্যায়।
ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাচীন দল হলো কংগ্রেস। সেই কংগ্রেস এবার পাঞ্জাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টির কাছে হেরেছে। আর বিজেপির হাত থেকে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মণিপুরে মতো রাাজ্যগুলোতে জয় ছিনিয়ে আনতে পারেনি।
সব মিলিলিয়ে আজকের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কী হয় তা এখন দেখার অপেক্ষা। দলটির বিদ্রোহী অংশের নেতারা ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগে যে রাহুল পদত্যাগ করেছিলেন, প্রিয়াঙ্কা পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন সেসব বিষয় তোলা হবে বৈঠকে।
ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষক রামচন্দ্র গুহ বলছেন, গান্ধীদের অবশ্যই রাজনীতি থেকে অবসর নিতে হবে দল ও দেশের গণতন্ত্রের ভালোর জন্য। তিনি আরও বলেন যে গান্ধী পরিবার কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করতে ব্যর্থ।
এসকেএইচ//