• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ১, ২০২২, ০৪:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১, ২০২২, ১০:৪৪ পিএম

পাকিস্তানে এখন এক লিটার ভোজ্যতেলের দাম ৬০৫ রুপি

পাকিস্তানে এখন এক লিটার ভোজ্যতেলের দাম ৬০৫ রুপি

পাকিস্তান সরকার ভোজ্যতেলের দাম লিটারপ্রতি এক লাফে ২১৩ রুপি (পাকিস্তানি মুদ্রা) বাড়িয়েছে। এতে প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম ৬০৫ রুপিতে  গিয়ে ঠেকেছে, যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। একই সঙ্গে ২০৮ রুপি বেড়ে প্রতি কেজি ঘিয়ের দাম ৫৫৫ রুপিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। খবর ডনের।

গতকাল মঙ্গলবার দাম বাড়ানোর এ ঘোষণা আসে। একসঙ্গে ভোজ্যতেলের দাম এত বেশি বাড়ানোর ঘটনা দেশটিতে নজিরবিহীন। যদিও নতুন দাম এখনো খুচরা বাজারে কার্যকর হতে দেখা যায়নি।

করাচির ইউটিলিটি স্টোরস (ইউএসসি) করপোরেশন জানিয়েছে, ঘি ও ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার এই উল্লম্ফনের নোটিশ ১ জুন থেকে কার্যকরের নির্দেশনা দিয়ে ইউএসসি নোটিশ জারি করেছে। তবে নির্দয়ভাবে এভাবে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে কর্মকর্তারা কিছু বলছেন না। ভোজ্যতেলের এভাবে মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তাদের বিপদে ফেলবে।

এখন পর্যন্ত প্রসিদ্ধ কোম্পানিগুলোর ঘি ও ভোজ্যতেল ৫৪০ রুপি থেকে ৫৬০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তান বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পিভিএমএ) মহাসচিব উমর ইসলাম খান ইঙ্গিত দিয়েছেন, খুচরা বাজারে শিগগিরই ইউএসসি ঘোষিত দামে ঘি ও ভোজ্যতেল বিক্রি হবে।

পাকিস্তানের পাম অয়েল আমদানির ৮৭ ভাগই আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে। বাকিটা মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েলের দাম টনপ্রতি ২০০-৩০০ ডলার কমেছে। তবে বাড়তি দামে বুকিং দেওয়ায় এবং রুপির মান কমায় আমদানি খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ঘি ও ভোজ্যতেলের দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানান উমর ইসলাম।

বৈদেশিক ঋণে জর্জর পাকিস্তানের অর্থনীতিতে সংকট চলছে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হয় দেশটি। আইএমএফ ঋণ পেতে জ্বালানির ওপর ভর্তুকি তুলে নেওয়ার শর্ত দিয়েছে। এতে এক ধাক্কায় পেট্রল ও ডিজেলের দাম ৩০ রুপি বেড়ে যায়।

রুপির অবমূল্যায়নের পাশাপাশি লাগামহীন মূল্যস্ফীতির কারণে আগে থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছিল। তার ওপর জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ছিল মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। ভোজ্যতেলের রেকর্ড মূল্যের কারণে নিত্যপণ্যের ব্যয় মেটানো এখন সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন হবে।