ব্যাপকহারে অস্ত্র তৈরির জন্য রুশ সামরিক শিল্প কারখানাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট পুতিন।
তিনি বলেন, যুদ্ধে অর্জিত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিখুঁত প্রযুক্তি এবং উন্নত সরঞ্জাম তৈরি করাও অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ।
ব্রিটেন জানায়, অস্ত্রের মজুদ বাড়িয়ে দূরপাল্লার হামলা জোরদার করতে পারে রাশিয়া।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) ইউক্রেন জানায়, যুদ্ধের ১০ মাসে এক লাখ ৯৫০ সৈন্য, ২৩০টি যুদ্ধবিমান, পাঁচ হাজার ৯৮৬টি সাঁজোয়া যান, ২৬৭টি হেলিকপ্টার, চার হাজার ৬২২টি গাড়ি-জ্বালানি ট্যাংক, ৬৫৩টি ক্রুজ মিসাইল, তিন হাজার পাঁচটি ট্যাংক, ২১২টি বিমান বিধ্বংসী ব্যবস্থা, এক হাজার ৯৮৪টি কামান, ১৭৮টি বিশেষ সরঞ্জাম, এক হাজার ৬৯৮টি মানবিহীন বিমান, ১৬টি নৌ জাহাজ, ৪১৪টি রকেট লঞ্চার হারিয়েছে রাশিয়া। যদিও ক্রেমলিন এনিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সামরিক সরঞ্জাম সঙ্কটে ভুগছে রাশিয়া। দীর্ঘ পাল্লার ক্রুজ মিসাইল হামলা কমিয়ে, সপ্তাহে একবারে নামিয়েছে। সরঞ্জামের মজুদ বাড়িয়ে হামলা জোরদার করতে পারে। সেনা ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দূরপাল্লার হামলাই হতে পারে কৌশল।
সামরিক সরঞ্জাম সঙ্কটের বিষয়টি স্পষ্ট পুতিনের বক্তব্যেও। শুক্রবার তুলা অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করেন তিনি। বলেন, সামরিক শিল্প কারখানাগুলোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ রুশ সামরিক ইউনিট, সম্মুখসারির সৈন্যদের প্রয়োজনীয় সব কিছু সরবরাহ করা।
যুদ্ধে অর্জিত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিখুঁত প্রযুক্তির, উন্নত সরঞ্জাম তৈরি করাও অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, সামরিক সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের অভাবে সৈন্য সমাবেশের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি বলেও জানান তিনি।
গত সপ্তাহে পুতিন জানান, ইউক্রেনে যে ভোগান্তির শিকার হয়েছে রুশ বাহিনী, তাদের উচিত সমস্যার সমাধান করা। সামরিক বাহিনীকে সবধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়া।
শুরুতে উল্লেখযোগ্য সফলতা পেলেও ইউক্রেনীয়দের পাল্টা আক্রমণে বিপর্যয়ে পড়ে রুশবাহিনী। পুতিনের ভাষায়, বৈশ্বিক বিষয়ে পশ্চিমা অত্যাধিক প্রভাব মোকাবেলায় ইউক্রেন যুদ্ধকে লক্ষ্যবস্তু করেছে রাশিয়া।
অস্ত্রের ঘাটতি, যুদ্ধক্ষেত্রে বিপর্যয়ের পরও ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঞ্চল রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। পুতিন জানান, ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধ, পশ্চিমাদের কাছ থেকে সামরিক গোয়েন্দা সহায়তা, বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র নেয়ার পরও কিয়েভের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হবে রাশিয়াই।
জাগরণ/আন্তর্জাতিক/কেএপি