• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩, ১২:১১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩, ১২:১১ এএম

তুরস্কে মরদেহ রাখার ব্যাগের সংকট

তুরস্কে মরদেহ রাখার ব্যাগের সংকট
ছবি ● সংগৃহীত

সিরিয়া-তুরস্কে ভূমিকম্পে প্রাণহানি বাড়ছে হু হু করে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হচ্ছে মরদেহ। ভয়াবহ ভূমিকম্পে যে বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা গেছে, তাতে মরদেহ রাখার ব্যাগের সংকট তৈরি হয়েছে। উদ্ধারকাজের পাশাপাশি চলছে গণকবর দেয়ার কাজও। সিরিয়ায় দিনে সমাহিত করা হচ্ছে গড়ে শতাধিক মানুষকে।

যুক্তরাজ্য থেকে মানবিক সহায়তা নিয়ে দেশটির গাজিয়ানতেপ শহরে যাওয়া ইসলামিক রিলিফের কর্মী সালাহ আবুলগাসেম বিবিসিকে এসব তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, অনেক যুদ্ধাঞ্চল, অনেক বিপর্যয়ে পড়া অঞ্চল দেখেছি। কিন্তু এটিই আমার দেখা সবচেয়ে বিধ্বংসী এলাকা।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিওতে দেখা যায়, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একদিকে চলছে মাটি খোঁড়ার কাজ, অন্যদিকে, চলছে দাফন। এ কোন সিনেমার দৃশ্য নয়। বাস্তব এই চিত্র যেন হার মানিয়েছে ভয়ঙ্কর কোনো চলচ্চিত্রকেও। দীর্ঘ এক সারিতে মাটি খুঁড়ে সেখানেই দাফন করা হচ্ছে ভূমিকম্পে প্রাণ হারানো মানুষদের।

সিরিয়ার জানদাইরিসে শিশু থেকে বয়স্ক, সব বয়সী মৃত মানুষের ঠাঁই হচ্ছে একই জায়গায়। আর এ কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হোয়াইট হেলমেট। তাদের সাথে উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছেন ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া অসংখ্য মানুষও।

এখনও বেশিরভাগের পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায়, দাফনের আগে মরদেহের ডিএনএ নমুনা রেখে দেয়া হচ্ছে।

একই দৃশ্য তুরস্কেরও। কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায় চোখের জলে প্রিয়জনকে শেষবারের মতো বিদায় জানাচ্ছেন মানুষ।

স্থানীয়রা বলছেন, দেখুন, কবর খোঁড়া হচ্ছে। মরদেহ দাফনের কাজও চলছে। বিশ্বাস করুন, এমন কোনও পরিবার নেই, যে ভূমিকম্পে অন্তত একজন প্রিয়জনকে হারায়নি। অনেকে তো আবার শুধু একাই বেঁচে আছে। বাকি সবাই মারা গেছে। বেশিরভাগই জানে না, তারা এখন কী করবে।

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মরদেহের সংখ্যা। দেখা দিয়েছে মরদেহ রাখার ব্যাগের সংকট। এ পরিস্থিতিতে, জরুরি ভিত্তিতে ব্যাগ সরবরাহের অনুরোধ জানিয়েছেন তুরস্কের উদ্ধারকারীরা।

স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে, যার উৎপত্তিস্থল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) সংস্থার তথ্যমতে, প্রথমে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এরপর অন্তত ১০০ বার কেঁপে ওঠে (আফটার শক) এ দুই দেশ।

জাগরণ/আন্তর্জাতিক/কেএপি