• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩, ০১:০১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩, ০১:০১ এএম

শান্তিনিকেতন ছাড়লেন অমর্ত্য সেন!

শান্তিনিকেতন ছাড়লেন অমর্ত্য সেন!
ছবি ● সংগৃহীত

অবশেষে শান্তিনিকেতন ছাড়লেন অমর্ত্য সেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) শান্তিনিকেতন ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। প্রথমে তিনি কলকাতা থেকে মুম্বােই যাবেন। সেখান থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ধরবেন। তবে যাওয়ার আগে তিনি জানান, ‘রেকর্ড অনুয়ায়ী জমি তার নামেই রয়েছে।’

অমর্ত্য সেন বলেন, ‘আমার বাবার নামে জমি ছিল, সেই জমি আমার নামে হওয়া উচিত এবং সেটাই হল। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর থেকে এই কাজটি করে দিয়েছে।’ 

জমি নিয়ে হেনস্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মনে ব্যথার অবকাশ কই?’ 

১৬ জানুয়ারি বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনের ‘প্রতীচী’ বাড়িতে আসেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। এবার তিনি প্রায় ১ মাসের বেশি সময় থাকলেন শান্তিনিকেতনে। এই সময়কালে অমর্ত্য সেন জমি দখল করে রেখেছেন, এই অভিযোগ তুলে ৩টি চিঠি দিয়ে সেই জমি ফেরত চেয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে বিতর্ক হয়। 

অমর্ত্য সেনের সঙ্গে ১৩ শতক জমি নিয়ে ২০০৬ সাল থেকেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে টানাপোড়ন চলে আসছে। অমর্ত্য সেনের দাবি, তার বাবা আশুতোষ সেনকে ১ দশমিক ৩৮ একর জমি ১৯৪৩ সালে দীর্ঘমেয়াদি লিজ দিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, যার মেয়াদ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। অন্যদিকে বিশ্বভারতীর দাবি, ১.২৫ একর জমির পরিবর্তে ১.৩৮ একর জমি রয়েছে বাড়িটিতে। অতিরিক্ত ১৩ শতাংশ জমি অমর্ত্য সেন বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছেন।

এই জমি বিতর্কে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ জানুয়ারি শান্তিনিকেতনে নোবেলজয়ীর বাড়ি ‘প্রতীচী’তে যান মমতা। সেখানে অমর্ত্যের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জমি নিয়ে যে দাবি করা হচ্ছে তা মিথ্যে। এছাড়া সেসময় অমর্ত্য সেনকে জেড প্লাস নিরাপত্তা দেয়ার ঘোষণাও করেন তিনি।’

জাগরণ/আন্তর্জাতিক/এসএসকে