• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৩, ১২:৩১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২২, ২০২৩, ১২:৩১ এএম

ঝড়-বৃষ্টিতেও নাকাল খান ইউনুস

ঝড়-বৃষ্টিতেও নাকাল খান ইউনুস
ছবি ● সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় খান ইউনুসে ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেশ কিছু আশ্রয় শিবির। একদিকে খাবার আছে পানির সংকট, অন্যদিকে প্রকৃতিক দুর্যোগে। এতে মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। 

এই পরিস্থতিতে শিগগিরই যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানিয়েছে আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দারা। জাতিসংঘ বলছে, ছয় সপ্তাহের চলামন সংঘাতে গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১৬ লাখ মানুষ। 

গাজায় দুদিন আগের ঝোড়ো বৃষ্টিতে খান ইউনিসের বেশ কিছু শরণার্থী শিবির ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রের দেয়াল এবং ছাদের জন্য ব্যবহৃত প্লাস্টিকের চাদর বাতাসে ছিঁড়ে গেছে। 

বাসিন্দারা তাদের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলিকে দাঁড় করিয়ে রাখতে করছেন সংস্কার কাজ। প্লাস্টিকের চাদরের নিচে বসানো হচ্ছে কাঠের ফ্রেম। বৃষ্টির পানি নেমে যেতে ক্যাম্পের খনন করা হচ্ছে পরিখা। 

এত সব সংগ্রামের মাঝেও থেমে নেই গাজার মানুষের জীবন যাত্রা। খান ইউনিসে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুর বাইরে কাঠের চুলায় চলছে রান্না। 

এখানে আশ্রয় নেয়াদের একজন রান্দা হামুদ। যিনি এক সময় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে থাকতেন। রোববার বৃষ্টিজনিত খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাদের অনেক কষ্ট মেনে নিতে হচ্ছে। 

ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিতে তাঁবু উড়ে গিয়ে ভেঙ্গেছে আশ্রয় শিবির। ভিজতে হয়েছে বৃষ্টিতেও। এই নিদারুণ কষ্ট থেকে মুক্তির জন্য এখনই যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তিনি। 

রান্দা হামুদ বলেন, যথেষ্ট গণহত্যা, যুদ্ধ এবং অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছে মানুষ। এখন আমরা এই যুদ্ধের সমাপ্তি চাই। বাড়িতে ফিরে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চাই। আমরা চাঁদে যেতে চাইনি। 

জাতিসংঘের হিসাব বলছে, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত খান ইউনুসে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ২২ হাজার মানুষ। সবমিলিয়ে গাজার ২৩ লাখ মানুষের দুই তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ১৬ লাখ বাসিন্দা এখন গৃহহীন। 

এসব মানুষের খাবার ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা। তবে, ইসরাইল সব কিছু অবরুদ্ধ করে রাখায় ভেঙ্গে পড়েছে সরবরাহ ব্যবস্থা। 

এরমধ্যেই, উত্তর এবং মধ্য গাজার পর এবার দক্ষিণ অংশে সর্বাত্মক হামাস বিরোধী অভিযান শুরু করার কথা জানিয়েছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। এজন্য কিছু এলাকা খালি করারও নির্দেশ দিয়েছে তারা।

তাই প্রয়োজনীয় সহায়তাও দিতে পারছে না জাতিসংঘ। ফলে, সংকট আরও ঘনিভূত হচ্ছে। তবে, আশার কথা, যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাস-ইসরাইলি আলোচনা অরেক দূর এগিয়েছে। 

জাগরণ/আন্তর্জাতিক/এসএসকে