![Daily Jagaran](https://www.dailyjagaran.com/media/common/logo.png)
ইসরায়েলে হামাসের হামলা ইস্যুতে তোপের মুখে পড়েছে জাতিসংঘ।
৭ অক্টোবরের হামলায় ১২ কর্মকর্তা জড়িতের অভিযোগে অর্থায়ন স্থগিত করেছে আমেরিকা, যুক্তরাজ্যসহ ৯ দেশ। অর্থায়ন বন্ধের পদক্ষেপকে জেনোসাইড কনভেনশনের লঙ্ঘন বলছে জাতিসংঘ। এতে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে থাকা ফিলিস্তিনিদের জীবন রক্ষা করা কঠিন হবে বলে সতর্ক করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) ১২ কর্মীর বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ করে ইসরায়েল।
সংস্থার প্রধানের পদত্যাগ এবং গাজায় সংস্থাটির মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধের দাবি তোলে তেল আবিব। শুক্রবার কয়েকজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেয় জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা।
এরপরই সংস্থাটিতে সাময়িকভাবে অর্থায়ন স্থগিতের ঘোষণা দেয় আমেরিকা। পরে তাদের সাথে যোগ দেয় যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ। এ বিষয়ে পূর্ণ তদন্তের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এতে উদ্বেগ জানিয়ে দেশগুলোকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি।
বর্তমানে গাজার ২০ লাখের বেশি মানুষ তাদের ত্রাণের ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছেন, তহবিল বন্ধ করলে তারা ঝুঁকিতে পড়বে বলে জানান তিনি।
অর্থায়ন বন্ধ করলে দেশগুলো জাতিসংঘের জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘন করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সিস্কা আলবানিজ।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায়ের একদিন পরই অর্থায়ন বন্ধের এই ঘোষণা লাখো ফিলিস্তিনিকে সম্মিলিতভাবে শাস্তি দেওয়ার শামিল।
অর্থায়ন স্থগিতের ঘোষণায় নিন্দা জানিয়ে অসহায় ফিলিস্তিনিদের সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
জাগরণ/আন্তর্জাতিক/জাতিসংঘ/এসএসকে