• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪, ১০:৪৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪, ১০:৪৮ এএম

কুকুরের কাছে লালন-পালন, হাঁটেন কুকুরের মতই

কুকুরের কাছে লালন-পালন, হাঁটেন কুকুরের মতই
ছবি ● সংগৃহীত

টারজান এবং মোগলির গল্প আপনি হয়তো শুনে থাকবেন, যারা মানুষের আবাসস্থল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জঙ্গলে বন্য প্রাণীদের সাথে বেড়ে উঠেছিল। এতদিন গল্পে এই কথা শুনে আসলেও এবার বাস্তবে ঘটেছে এমন ঘটনা। ইউক্রেনের ওক্সানা মালায়া (৪০) নামের এক নারী কুকুরের সাথে তার শৈশব কাটিয়েছেন এবং তাদের মত করেই চলাফেরা করেন।

ওক্সানা মালায়াকে মাত্র ৩ বছর বয়সে তার মদ্যপ বাবা-মা ঠাণ্ডার মধ্যে বাইরে রেখে যান। পরে আশ্রয়ের জন্য তিনি তার পোষা কুকুরটিকে অনুসরণ করে একটি গর্তে যান এবং প্রায় পাঁচ বছর ধরে সেখানে কুকুরের দলের সাথে থাকেন।

এই সময় ওক্সানা মালায়া ঘেউ ঘেউ করা, গর্জন করা এবং হাত-পা ব্যবহার করে হাঁটার কৌশল রপ্ত করেন। মালায়া বলেন, আমার অনেক ভাইবোন ছিল এবং আমাদের থাকার জন্য পর্যাপ্ত বিছানা ছিল না। তাই আমি কুকুরের কাছে গিয়েছিলাম এবং তার সাথে থাকতে শুরু করি। বেঁচে থাকতে, আমি সেখানে নিজের থাকার জন্য একটি বাড়ি তৈরি করেছিলাম এবং জীবনের পরবর্তী পাঁচ বছর সেখানে থেকেছিলাম।

মালায়া বলেন, যখন আমাকে উদ্ধার করা হয় তখন কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমি তাদের (কুকুর) সাথে কথা বলতে চাই, ঘেউ ঘেউ করতে চাই। এটাই ছিল আমাদের যোগাযোগের উপায়। কুকুরদের মত করে কাঁচা মাংস খেতাম, খাবারের জন্য আবর্জনার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতাম।

 

মালায়া বর্তমানে যেই পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকেন সেখানকার পরিচালক আন্না চালায়া বলেন, মালায়া একটি মানব শিশু নয় বরং একটি ছোট কুকুর ছানার মতো ছিল। তিনি যখন পানি দেখতেন তখন তার জিহ্বা বের করতেন এবং জিহ্বা দিয়েই পানি খেতেন।

উদ্ধারের পর মালায়াকে দুই পায়ে হাঁটা এবং কথা বলা শেখানো হয়। তারপরেও সে এখনও কুকুরের কিছু আচরণ ধরে রেখেছে।

শিশু মনোবিজ্ঞানী লিন ফ্রাই মালায়া সম্পর্কে বলেন, আমি মনে করি না যে সে কখনো পড়তে বা অন্য কিছু করতে পারবে যা ভবিষ্যতে তার কাজে লাগবে।

জাগরণ/আন্তর্জাতিক/বিবিত্র/এসএসকে