• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২০, ০২:৩৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১১, ২০২১, ০৩:৫২ পিএম

চলো বহুদূর 

চলো বহুদূর 

চলো হেঁটে আসি বৃষ্টির শহরের ব্যস্ত রাস্তায় এসে
উঁচু দালান ল্যাম্পপোস্টের আলোয় সন্ধ্যের শেষে।
নীল আকাশি শাড়ির আঁচল উড়িয়ে, কণ্ঠে বেঁধে সুর
আঙুলে আঙুল স্পর্শ করে চলো হেঁটে আসি বহুদূর।

চলো হেঁটে আসি বিষাক্ত ধোয়ামুক্ত সহজ কোনো শহরে,
ইচ্ছে রঙিন চারপাশ পায়ের নিচে ঘাসফুল মেঘেদের বহরে!
জলকেলি, গাঙচিল,পদ্মের দলে ব্যাঙের আলসেমি, মুগ্ধ!
স্নিগ্ধ আবেশে ভুলিয়ে রেখে চলো হেঁটে আসি বহুদূর উন্মুক্ত।

চলো হেঁটে আসি বর্ষার কদমফুলে পিচ্ছিল কাদামাঠে 
ঘরবন্দি জীবনের জ্বর জড়তা বসে থাকুক দিঘির ঘাটে।
শাপলার দল রাজহাঁসের ছুটাছুটি ঢেউয়ের পরে ঢেউ
একা থেকো না চলো হেঁটে আসি, তোমায় ডাকছে কেউ।

চলো হেঁটে আসি কাশফুল তুলোমিঠে হাওয়াই দলে 
মাথার উপরে মেঘের আনাগোনা ছুঁয়ে দেই মনোবলে।
সাদা মেঘ,নৌকার পালে গল্প করে কাটিয়ে দেই সময়
তারপর,চলো ভেসে যাই বহুদূর, জীবন করে সুখময়।

চলো হেঁটে আসি জীর্ণ শহরের ভালোবাসার শেষ প্রান্তরে,
যতসব পাগলামি বিষণ্নতায় আচ্ছন্ন সহজ কোনো অন্তরে!
ভোরের আলোয় তোমার মুখে মেঘে ঢাকা সূর্যরশ্মি স্পষ্ট,
চলো, বহুদূর ঘুরে আসি ঝেড়ে ফেলি মনে সব ময়লা কষ্ট!

চলো ঘুরে আসি পানাম নগরের অবশিষ্ট সৌন্দর্যের তরে
পোড়ামাটির ফলক শ্বেতপাথরের স্মৃতিরোমন্থন ঘরে।
সংকীর্ণ মনে জড়তার ভীষণ লজ্জা নিয়ে চুপচাপ সুখে
তারপর,চলো হেঁটে আসি বুড়িগঙ্গার পাড় ধরে অতৃপ্ত বুকে।

চলো হেঁটে আসি ভোরের শিশির ভেজা ঘাসের ওপর
খালি পায়, তুমি না হয় এক পায়ে পরে ঘাসের নূপুর।
হাড়ির রস, কাঠখড়ির উষ্ণতা, নরম হাতের স্পর্শ
চলো হেঁটে আসি বহুদূর, হবে সম্পর্কের চাদরের উৎকর্ষ।
চলো হেঁটে আসি বহুদূর…