• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০১৯, ০৭:১৯ পিএম

ময়মনসিংহে নকল ও ভেজাল পণ্যে সয়লাব

ময়মনসিংহে নকল ও ভেজাল পণ্যে সয়লাব

 

ময়মনসিংহে নকল ও ভেজাল পণ্যে সয়লাব হয়ে গেছে। পণ্য বিক্রিতে বিশেষ করে শিশু খাদ্য বিক্রিতে কোন আইন মানা হচ্ছে না। নকল ও ভেজাল পণ্যের রমরমা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়ের গেইটের সামনে দোকানগুলোতে। পণ্যের গায়ে বিএসটিআইয়ের সিল আছে কিন্তু সিলের নিচে ছোট করে বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদিত নয় লেখা রয়েছে। তারপরও পণ্যটি ক্রেতা ও তদারকির কাজে নিয়োজিতদের চোখে ধুলা দিয়ে দেদারচ্ছে বিক্রি হচ্ছে। 

ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের দোকানগুলোতে পরিদর্শন করে নকল ও ভেজাল পণ্য সম্পর্কে নানা তথ্য জানা গেছে। 

অবৈধ কোম্পানি বিক্রয় প্রতিনিধিরা বাকিতে নকল ও ভেজাল পণ্য সরবরাহ করে থাকে। দ্বিগুন লাভের আশায় দোকানীরা নকল ও ভেজাল পণ্য বিক্রি করে থাকে। নকল ভেজাল পণ্যের মধ্যে বিভিন্ন বেকারি পণ্যই বেশি। এসব পণ্যের গাঁয়ে বিএসটিআইয়ের কোন অনুমোদন নেই। নেই উৎপাদনের তারিখ, নেই মেয়াদোর্ত্তীণের তারিখ। এসব শিশু খাদ্য দেখভালের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর থাকলেও তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্চুক এক দোকানি জানান, নকল ও ভেজাল পণ্য বিক্রি করলে পুলিশসহ কেউ তাদেরকে হয়রানি করবে না বলে অভয় দেয়া হয়। 

নকল ও ভেজাল পণ্যের মধ্যে কোমল পানীয় বেশি। ফ্রিজে রাখা এসব কোমল পানীয়তে মেয়াদোর্ত্তীণ থাকে বেশি। শিশুদের আইসক্রিমে কোন নিয়ম মানা হয় না। তারা কবে ফ্রিজে রাখলো। কবে মেয়াদ শেষ হবে তার কোন বলাই নেই। 

অনুসন্ধ্যানে দেখা গেছে, কনকসার লৌহজং মুন্সিগঞ্জের একতা আইসক্রিমের রোডো আইসক্রিমে কোন উৎপাদনের তারিখ নেই। নেই কোন মেয়াদোর্ত্তীণের তারিখ। বিএসটিআইয়ের সিল দেয় হয়েছে ঠিকই, সিলের নিচে ছোট করে লেখা রয়েছে বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদন নয়। তারপরও শিশু খাদ্য আইসক্রিম ৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে দেদারচ্ছে। 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক জানান, নকল ও ভেজাল পণ্যে ব্যবসা পাহাড়ি এলাকার বিদ্যালয়ের সামনে বেশি। আমরা কিছু বলতে পারি না। যারা এসব ব্যবসা করে তারা হলো এখানকার স্থানীয়। বেশি কিছু বলা যায় না। 

ফুলবাড়ীয়া উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কেএসটি