ছাদ ধসে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় যথাযথ ক্ষতিপূরণ কেন নয়- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, বরগুনার জেলা প্রশাসক, বরগুনার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, তালতলী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও স্কুলটির পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে এবং চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার (০৭ এপ্রিল) এই আদেশ দেয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম. মাইনুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন রিটকরী আইনজীবী মো. ইশতিয়াক আহমেদ।

জনস্বার্থে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে এই রুল জারি করে আদালত। রুলে বরগুনার তালতলীতে পি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কতৃত্ব বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না এবং হতাহত শিক্ষার্থীদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এদিকে বরগুনার ওই ঘটনায় হাইকোর্টে আরও একটি রিট করা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ছাদ ধসে নিহত হওয়া ওই শিক্ষার্থীর পরিবারকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে ওই রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব আজ এই রিট করেন। 

এর আগে গতকাল শনিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগি পি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদের গ্রেড ভীম ভেঙে পড়ে মানসুরা (৮) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। ওই ঘটনায় একই শ্রেণির আরও পাঁচজন আহত হয়।

স্কুলের ভবন নির্মাণে নিম্নমানের কাজের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ছোটবগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহা. তৌফিকুজ্জামান তনু।

এদিকে আজ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, ‘এই ধরনের দুর্ঘটনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আজকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা এলজিইডিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা, পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোকে চিহ্নিত করে দ্রুত সেখানে নতুন ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।'

এমএ/এসএইচএস