• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০১৯, ১১:০৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১০, ২০১৯, ০৫:১৫ পিএম

আজহার ও কায়সারের আপিল শুনানি ১৮ জুন

আজহার ও কায়সারের আপিল শুনানি ১৮ জুন
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজহারুল ইসলাম ও সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার -ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম এবং প্রাক্তন কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিলের বিষয়ে শুনানির দিন আগামী ১৮ জুন ধার্য করেছেন আদালত। 

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বুধবার (১০ এপ্রিল) এ আদেশ দেন।

আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এম এস শাহজাহান ও শিশির মোহাম্মদ মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

বুধবারের আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) মামলা দুইটি এই বেঞ্চের যথাক্রমে এক ও দুই নম্বরে আদেশের জন্য ছিল বলে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজহারের বিরূদ্ধে যুদ্ধকালিন ২৫৬ জনকে হত্যা-গণহত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, এক নারীকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শত শত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।

এসব অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগই ট্রাইব্যুনালের রায়ে প্রমাণিত হয়। সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) অভিযোগ ছাড়াও তিনি যে আলবদর কমান্ডার ছিলেন তাও প্রমাণিত হয়।

ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহারুল ইসলাম। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবীরা এ আপিল করেন। আপিলে খালাস চান তিনি।

মুক্তিযুদ্ধকালে নিজের নামে ‘কায়সার বাহিনী’ গঠন করে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেন হবিগঞ্জ মহকুমার রাজাকার কমান্ডার ও শান্তি কমিটির সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার।২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর তাকে সর্বোচ্চ সাজাসহ ২২ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে একাত্তরে ১৫২ জনকে হত্যা-গণহত্যা, ২ নারীকে ধর্ষণ, ৫ জনকে আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায় এবং দুই শতাধিক বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন এবং ষড়যন্ত্রের ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে ১৪টিই আদালতে প্রমাণিত হয়।

যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে প্রথমবারের মতো অন্য অপরাধের পাশাপাশি ধর্ষণের দায়ে ফাঁসির আদেশ পান কায়সার। সাঁওতাল নারী হীরামনি ও অপর নারী মাজেদাকে ধর্ষণের অপরাধ দুটি প্রমাণিত হয়। পরের বছর ১৯ জানুয়ারি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ফাঁসির সাজা বাতিল ও বেকসুর খালাসের আরজি জানিয়ে আপিল করেন তিনি।

এমএ/একেএস