• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০১৯, ০২:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৭, ২০১৯, ০৮:৩৯ পিএম

জাহালমের সাজায় কারা জড়িত, দেখবে হাইকোর্ট

জাহালমের সাজায় কারা জড়িত,  দেখবে হাইকোর্ট
জামিনে মুক্তি পাওয়া জাহালম-ছবি : সংগৃহীত

ভুল আসামি হয়ে জাহালমের তিন বছর জেল খাটার পেছনে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। 

বুধবার  (১৭ এপ্রিল) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা জানান।

এ সংক্রান্ত এক আদেশে জাহালমের জেল খাটার পেছনে জড়িতদের খুঁজে বের করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

মামলাটি শুনানির জন্য আগামী ২ মে (বৃহস্পতিবার) পরবর্তী দিন ঠিক করেছে আদালত।

দুদকের পক্ষে আজ আদালতে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান, জাহালমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।

এ সময় বিনা দোষে জেল খাটা জাহালমও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার শুনানি শুরু হলে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সময় চেয়ে আবেদন করে। এ সময় আদালত দেখেন এ মামলার ফাইল আসেনি। তখন আদালত বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিলো আজকে ফাইল আসবে এবং আমরা শুনানি করতে পারব। কিন্তু ফাইলতো আসেনি।

এ সময় আদালত দুদকের আইনজীবীকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত নথি দাখিল করতে বলেন।

এ ছাড়া জাহালমের জেল খাটার পেছনে কারা জড়িত সেই তদন্ত রিপোর্টও দাখিলের নির্দেশ দিয়ে আগামী ২ মে দিন ঠিক করে দেয় আদালত।

গত ১০ এপ্রিল ভুল আসামি হয়ে ২৬ মামলায় কারাগার থাকার পর জামিনে মুক্তি পাওয়া জাহালমকে দেখতে চান হাইকোর্ট। আদালত তাকে ১৭ এপ্রিল উপস্থিত থাকতে বলে।

হাইকোর্টে নজরে আনা এ মামলার আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত বলেন, জাহালম এখন কেমন আছেন ও কেমন জীবন-যাপন করছেন তা আদালতে এসে বলতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ৬ মার্চ জাহালমকে ২৬ মামলায় ভুল আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিলের যাবতীয় নথি তলব করেন হাইকোর্ট। গত ৩ ফেব্রুয়ারি (রোববার) জাহালমকে ২৬ মামলায় অব্যাহতি দেন হাইকোর্ট। তবে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরও ৭ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল না হওয়ায় ওসব মামলায় তার অব্যাহতির বিষয়ে আদেশ দেননি আদালত। যার ফলে কারামুক্তি পান জাহালম।

গত ২৮ জানুয়ারি ২৬ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে থাকার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি ও মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।

দুদকের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মামলার বাদী, স্বরাষ্ট্র সচিবের একজন প্রতিনিধি ও আইন সচিবের একজন প্রতিনিধিকে উপস্থিত থেকে এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এ বিষয়ে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থানের পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিচারপতি নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

একটি জাতীয় দৈনিকে ‘‘৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে’ ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না…’’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত।

এমএ/এসএমএম