• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ৬, ২০১৯, ০৬:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৭, ২০১৯, ১২:৫৭ এএম

এফ আর টাওয়ারের মালিক ফারুক জামিনে মুক্ত

এফ আর টাওয়ারের মালিক ফারুক জামিনে মুক্ত

জামিনে মুক্তি পেয়েছেন রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক। 

সোমবার (৬ মে) দুপুরে তার জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। দুপুরে মামলার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাইদুজ্জামান শরীফ ফারুকের জামিনের আদেশ দেন।

আদালতে এস এম এইচ আই ফারুকের পক্ষে জামিন শুনানি করেন তার আইনজীবী লাকী। এ সময় সংশ্লিষ্ট থানার আদালতে সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শেখ রকিবুর রহমান জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন রকিবুর রহমান।

মামলাটিতে গত ১১ এপ্রিল (বুধবার) জামিন পান ভবনটির বর্ধিত অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসভিরুল ইসলাম।

গত ২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় ঘটনাস্থলে ২৫ জন ও হাসপাতালে একজন মারা যান। ওই ঘটনায় আহত হন ৭৩ জন। ওই ঘটনায় আহত হয়ে বিদেশে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফ্যায়ারম্যান সোহেল রানাও মারা যান। ওই ঘটনায় বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিল্টন দত্ত গত ৩০ মার্চ (রোববার) বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় উক্ত দুই আসামি ছাড়াও রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুলকে আসামি করা হয়।

মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক, টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভিরুল ইসলাম, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল এবং এফ আর টাওয়ার বিল্ডিং ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ অসৎ উদ্দেশে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার লোভে নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে টাওয়ারে থাকা সম্পত্তি ও লোকজনের জানমালের নিরাপত্তার বিষয় লক্ষ্য না রেখে কেবল নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার মানসিকতায় চরম অবহেলা ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ কার্যকলাপের ফলে এফ আর টাওয়ারে এই মর্মান্তিক ও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। এ অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন নিরিহ পুরুষ ও নারী নিহত এবং শতাধিক লোক মারাত্মকভাবে আহত হন। এ ছাড়া এফ আর টাওয়ারের বিল্ডিংসহ পার্শ্ববর্তী বিল্ডিং সংলগ্ন তথা রাষ্ট্রের সম্পত্তি মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতিসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। ১৯৯৬ সালের এফ আর টাওয়ারের নকশা অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদিত নকশা ভবনের উচ্চতা ১৮ তলা, যদিও নির্মাণ করা হয়েছে ২৩ তলা। পরবর্তীকালে ২০০৫ সালে এফ আর টাওয়ারের মালিকপক্ষ রাজউকের কাছে আরেকটি নকশা জমা দেয়। ১৯৯৬ সালে মূল যে নকশা রাজউক অনুমোদন দিয়েছিল তার সাথে নির্মিত ভবনটির অনেক বিচ্যুতি রয়েছে।

এইচএম/এসএমএম