যানবাহনে আগুন নেভানোর জন্য ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। জনস্বার্থে করা এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (২২ মে) এই আদেশ দেয়। 

আইন অনুসারে বাস-মিনিবাসের রুট পারমিট অনুমোদনের ক্ষেত্রে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করার বিধান কার্যকরের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে যোগাযোগসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের (মহাপরিদর্শক) আইজিপি, বিআরটিএ-এর চেয়ারম্যান, ফায়ার সর্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সৈয়দ মিছবাহুল আনোয়ার এবং তার সঙ্গে ছিলেন সোহরাব সরকার ও জামাল উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

বিভিন্ন সময়ে যানবাহন উত্তপ্ত হওয়ার কারণে গণপরিবহনে আগুন ধরে যায়। এর কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় আইনজীবী আবুল বারকাত মোহাম্মদ সাজ্জাদ আল বারি সোহেল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আজ এ আদেশ দেন আদালত।

গত ২৯ মার্চ রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কাছের রাস্তায় নূর -এ-মক্কা নামের একটি বাসে আগুন লাগে। এর আগে বনানী এলাকায় ২০১৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি অপর একটি বাসে আগুন লাগে। চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ধানমণ্ডিতে গ্যাস লাইন ছিদ্র হয়ে গাবতলীগামী ৭ নম্বর বাসে আগুন লাগে, এতে আটজন আহত হন। এছাড়া ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি ফার্মগেট এলাকায় রাইদা পরিবহনে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে আগুন লাগে। এতে ১২ জন আহত হন। সাভারে ২০১৭ সালের ২৪ জুন বিএরটিসির ডাবলডেকার বাসে আগুন লেগে ১৫ জন আহত হন। এ সব ঘটনা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত এ রকম আগুনের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়।

আইনজীবী জানান, প্রায় আড়াই লাখ সিএনজি চালিত যানবাহনের গ্যাসের সিলিন্ডার কোনও ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই অবাধে রাস্তায় চলাচল করছে। এ সব যানবাহনের সিলিন্ডার বিস্ফোরণেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।

এর আগে ২০১৭ সালের ২ মার্চ বাস-মিনিবাসের রুট পারমিট অনুমোদনের ক্ষেত্রে মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুযায়ী অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা রাখার জন্য নির্দেশনা জারি করে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত এর কোনও কার্যকারিতা দেখা যায়নি।

এমএ/এসএমএম