• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৬, ২০১৯, ০৪:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৬, ২০১৯, ০৪:১৫ পিএম

খালেদাসহ চারজনের বিষয়ে প্রতিবেদন পিছিয়ে ৩ সেপ্টেম্বর

খালেদাসহ চারজনের বিষয়ে প্রতিবেদন পিছিয়ে ৩ সেপ্টেম্বর

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে হরতাল-অবরোধে ৪২ জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে করা হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য রোববার (২৬ মে) দিন ধার্য ছিল। তবে 
গুলশান থানা পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহম্মেদ, দলের তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া।

২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী মামলাটি দায়ের করেন। ওই দিন আদালত গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। দণ্ডবিধি ৩০২, ১০৯ ও ১২০(বি) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধ ও হরতালে গত ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত (২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি) ৪২ জনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। যাদের মধ্যে গত ২৭ জানুয়ারি ট্রাকচালক আব্দুর রহমান ও বকুল দেবনাথ, ১৩ জানুয়ারি আড়াই বছরের শিশু সাফির ও জেসমিন আক্তার, ১৫ জানুয়ারি স্কুল ছাত্র রাজন আলী, বাসচালকের সহকারী তোফাজ্জল ও ট্রাকচালকের সহকারী সোহাগ বিশ্বাস রয়েছেন।

মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, এসব হত্যাকাণ্ডের দায়ভার অবরোধ ও হরতাল আহ্বানকারী ২০ দলীয় জোটের প্রধান বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এবং অপর তিন আসামির ওপর বর্তায়। অন্যদিকে, অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ও হরতাল দিয়ে মানুষ হত্যা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সামিল হিসেবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধের মধ্যে পড়ে।

এমএ/বিএস