• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১১, ২০১৯, ০৫:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১১, ২০১৯, ০৫:১৪ পিএম

ধর্ষিতাকে ক্ষতিপূরণ দিতে স্কিম তৈরিতে রুল

ধর্ষিতাকে ক্ষতিপূরণ দিতে স্কিম তৈরিতে রুল

ধর্ষিতার জন্য ক্ষতিপূরণ স্কিম তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (১১ জুন) এই রুল দেয়।

রুলে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে চলন্ত বাসে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে গণধর্ষণ ও হত্যা এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করা রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বর্ষার পরিবারকে কেন ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছে আদালত।

চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব ও আইনসচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১২ বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল হালিম।

গত ২৬ মে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে চলন্ত বাসে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে গণধর্ষণ ও হত্যা এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করা রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বর্ষার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। জনস্বার্থে মানবাধিকার সংগঠন চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এ রিট দায়ের করেন।

প্রসঙ্গত, ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়া গত ৬ মে রাত করে যাচ্ছিলেন। কটিয়াদী  পার হওয়ার পর রাত ৮টার দিকে বাস থেকে এক বৃদ্ধ যাত্রী নেমে গেলে তানিয়া একা হয়ে পড়েন। বাসটি বাজিতপুর উপজেলার বিলপাড় জামতলার একটি কলাবাগানে এলে তানিয়া বাসচালক নুর, হেলপার লালন মিয়া, নুরের খালাতো ভাই ও বাসের অপর হেলপার বোরহান- দলবেঁধে  ধর্ষণ করে। এই নৃশংস ঘটনাকে সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিতে তানিয়াকে বাস থেকে নিচে ফেলে দেয়া হয়। পরে তানিয়া মারা যান।

অপরদিকে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গত ২৩ এপ্রিল অপহৃত হন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বর্ষা। অভিযোগ ওঠে, সহপাঠীর সহায়তায় অপহরণের পর বর্ষাকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী বখাটে মুকুল হোসেন। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে অপমানিত হন বর্ষার বাবা।

থানায় আইনি সহায়তা না পাওয়ার পর থেকে বর্ষাকে নিয়ে বিভিন্ন লাঞ্ছনা-গঞ্জনা শুরু হয়। সমাজের মানুষের নেতিবাচক মন্তব্য আর অপমান সইতে না পেরে গত ১৬ মে চিরকুট লেখে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন বর্ষা।

 

এমএ/ একেএস