• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০১৯, ১২:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৮, ২০১৯, ১২:২৮ পিএম

মানবতাবিরোধী অপরাধ

আজহারের আপিল শুনানি শুরু

আজহারের আপিল শুনানি শুরু


মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলকে এই অপরাধে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছিল অন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন আজহার।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে আজ মঙ্গলবার এই শুনানি শুরু হয়।

প্রথমে এ টি এম আজহারুল ইসলামের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নাল আবেদীন বলেন, আমাদের প্রস্তুতির জন্য আরো সময় প্রয়োজন। তখন আপিল বিভাগ বলেন, এতদিন কী করেছেন? আর সময় দেওয়া হবে না। শুনানি শুরু করেন। তখন জয়নাল আবেদীন আপিলের পেপারবুক থেকে পড়া শুরু করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে গত ১০ এপ্রিল  মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম এবং জাতীয় পার্টির প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

ওই দিন আদালত বলেছিলেন, আমরা হেয়ারিংয়ের জন্য ১৮ জুন সময় নির্ধারণ করে দিচ্ছি। একটা মামলার আপিল শুনানি শেষ হলে আরেকটা শুরু হবে।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরধ ট্রাইব্যুনাল-১ মুক্তিযুদ্ধকালে রংপুর জেলা আল বদর বাহিনীর কমান্ডার এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

প্রসিকিউশনের আনা নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পাঁচটি এবং পরিকল্পনা-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের রায় আসে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়ে অন্তত ১ হাজার ৪০০ লোককে হত্যার অপরাধে।

এছাড়া, ওই অঞ্চলের বহু নারীকে রংপুর টাউন হলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতনকেন্দ্রে ধর্ষণের জন্য তুলে দেওয়ার অভিযোগে এই আল বদর কমান্ডারকে ২৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অপহরণ ও আটকে রেখে নির্যাতনের আরেকটি ঘটনায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি খালাস চেয়ে আপিল করেন জামায়াতে ইসলামীর এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।

এমএ/আরআই